কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।
বাস্তুজমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ়াকে খুন করার অভিযোগ উঠল পড়শি পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে গুসকরা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাশা পল্লিতে ঘটনাটি ঘটে। ওই প্রৌঢ়া, সুচিত্রা ঘোষকে (৫৩) খুনের কথা জানাজানি হতেই আশপাশের লোকজন অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হন। পরে পুলিশ গিয়ে বাড়িতে আটকে থাকা মহিলাদের উদ্ধার করে। চার মহিলা-সহ ছ’জনকে আটকও করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে পূর্বাশা পল্লির মস্তানপাড়ায় দু’কাঠা জায়গা কেনেন সুচিত্রাদেবীরা। তার মধ্যে এক কাঠা জায়গা নিয়ে পড়শি পরিবারের সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়। সেই জায়গা ফাঁকা রেখেই বাকি এক কাঠার উপর বাড়ি করেন সুচিত্রাদেবীরা। মৃতার একমাত্র মেয়ে রিমিদেবীর অভিযোগ, ‘‘ওই জায়গার দখল নিয়ে গোলমাল চলতই। নিত্য অশান্তি থেকে বাঁচার জন্য আমরা প্রশাসনের দরজায় বারবার গিয়েছি।’’ জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ফাঁকা জায়গাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরছিলেন পড়শি খাঁ পরিবার। অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে খাঁ পরিবারের লোকেরা সুচিত্রাদেবী, তাঁর স্বামী কাঞ্চনবাবু ও মেয়ের উপর চড়াও হয়। মারধর করা হয় তাঁদের। কাঞ্চনবাবু স্থানীয় কাউন্সিলর, পুরপ্রধান ও পুলিশের বিট অফিসে খবর দেন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে খাঁ পরিবারের একজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
কাঞ্চনবাবুর অভিযোগ, পুলিশ চলে যাওয়ার ফের তাঁদের উপর হামলা হয়। খাঁ পরিবারের কর্ত্রী ছোটকন খাঁ পিছন দিক থেকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে সুচিত্রাদেবীর ঘাড়ে আঘাত করেন বলেও তাঁদের দাবি। সেই আঘাতেই রাস্তার উপরে লুটিয়ে পড়েন সুচিত্রাদেবী। স্থানীয় বাসিন্দারা গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই উত্তেজিত জনতা ওই বাড়ির উপর চড়াও হন। ভয়ে মহিলারা দরজা লাগিয়ে একটি ঘরে আশ্রয় নেন।
খবর পেয়ে ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) মির কাশিম আলির নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে আটকে থাকা মহিলাদের উদ্ধার করে গুসকরা বিট অফিসে নিয়ে আসেন। তবে এ দিন সন্ধে পর্যন্ত কোনও অভিযোগ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy