Advertisement
E-Paper

বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে খুন

নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীর হাতে খুন হয়ে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক। রবিবার রাতে দুর্গাপুরের ফরিদপুরের রায়পাড়ায় অভিযুক্তকে তাড়া করে ঘিরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০৫:১৪
এই বাড়িতেই খুন হন তপন মুখোপাধ্যায়। ছবি: বিকাশ মশান

এই বাড়িতেই খুন হন তপন মুখোপাধ্যায়। ছবি: বিকাশ মশান

নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীর হাতে খুন হয়ে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক। রবিবার রাতে দুর্গাপুরের ফরিদপুরের রায়পাড়ায় অভিযুক্তকে তাড়া করে ঘিরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।

ভিড়িঙ্গি হাইস্কুলের গ্রন্থাগারিক ছিলেন তপন মুখোপাধ্যায় (৬২) নামে ওই বৃদ্ধ। তাঁর আদি বাড়ি ভিড়িঙ্গি গ্রামে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে রায়পাড়ায় তিনতলা বাড়িতে থাকতেন। মেয়ে শিবানী স্নাতক তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন। স্ত্রী সুনন্দাদেবী ইসিএলের কাজোড়া হাসপাতালের কর্মী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ তপনবাবু ছাড়াও বাড়িতে ছিলেন মেয়ে শিবানী ও বৃদ্ধা শাশুড়ি। সুনন্দাদেবী হাসপাতালে ছিলেন। সেই সময়েই ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশকে শিবানী জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর দিদিমা তখন দোতলায় ছিলেন। তপনবাবু ছিলেন একতলার একটি ঘরে। হঠাৎ তাঁর আর্তনাদ শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখেন, প্রদীপ চৌহান নামে ওই যুবক ভোজালি দিয়ে তপনবাবুর পেটে কোপ মারছে। পাশে রয়েছে আর এক জন। শিবানীদেবী অভিযোগ করেন, তিনি ছুটে গেলে তাঁকে তাড়া করে সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসে প্রদীপ। তিনি দ্রুত একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এর পরে প্রদীপ ছাদে গিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করে। ইতিমধ্যে শিবানীর চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে এলাকা ঘিরে ফেলেন। বেগতিক দেখে পাশের বাড়ির ছাদে ঝাঁপ দিয়ে কার্নিসে শুয়ে লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করে প্রদীপ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।

প্রতিবেশী সুভাষ সাহা বলেন, ‘‘তপনবাবুর মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে যাই। পুলিশকেও ফোন করি।’’ তপনবাবুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। পুলিশ অবশ্য জানায়, সোমবার রাত পর্যন্ত তদন্তে অন্য এক জনের জড়িত থাকার কোনও সূত্র মেলেনি। গেট খুলে উঠোন ও বাগান পেরিয়ে ওই বাড়িতে ঢুকতে হয়। এ ছা়ড়া পিছনের দিকে পাঁচিল ভেঙে যাওয়ার পরে একটি অস্থায়ী গেট তৈরি করা হয়েছিল। সেখান দিয়েই

আততায়ী ভিতরে ঢোকে বলে পুলিশের অনুমান।

খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন সুনন্দাদেবী। তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা প্রদীপ বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁদের ফোনে উত্ত্যক্ত করছিল। পরিজনদের পরামর্শে তিনি নিজের ফোন নম্বরও বদলান। কয়েক মাস আগে তপনবাবুকে ফোন করে খুনের হুমকি দিয়ে প্রদীপ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। মেয়েকে অপহরণের হুমকিও দেয় বলে সুনন্দাদেবীর অভিযোগ। তিনি জানান, থানায় অভিযোগও করা হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, গত ডিসেম্বরে প্রদীপকে আটক করা হয়। কিন্তু অভিযোগকারী পরিবারের তরফে উপযুক্ত সাড়া না পেয়ে শেষে তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার প্রদীপকে আদালতে তোলা হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Death Murder Old Man
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy