প্রতীকী ছবি।
বড়বাজারের ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনের মামলায় ফের গ্রেফতার হলেন এক জন। সাদা পোশাকে পিছু নিয়ে রবিবার রাতে কলকাতার নারকেলডাঙার মহম্মদ জাভেদ আখতার ওরফে জামুকে বাবুঘাটের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ধরেছে পূর্ব বর্ধমান পুলিশের একটি দল। পুলিশের দাবি, বাবুঘাট থেকে বাসে চেপে বিহার-ঝাড়খণ্ড পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বছর চুয়ান্নর জামুর।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খানের দাবি, “সব্যসাচী খুনে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিন (২২ অক্টোবর) সে রায়নার দেরিয়াপুরে সব্যসাচীর পৈতৃক বাড়িতে ছিল বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আরও তথ্য জোগাড় করা হবে।’’
তদন্তকারীদের দাবি, বাবুঘাট থেকে বাসে চড়েছিলেন গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, রঙ করা চুলের জামু। বাস ছাড়ার কিছু ক্ষণ আগে তিনি বুঝতে পারেন, ‘অচেনা’ লোক তাঁর পিছু নিয়েছে। বাস থেকে নেমে মাস্কের উপর দিয়ে গলা-মুখে হলুদ রঙের গামছা জড়িয়ে দ্রুত হাঁটতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু পিছু নিয়ে তাঁকে ধরা হয়। যে বাসে তিনি চড়েছিলেন, সেটিও আটক করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর রাতে রায়নার দেরিয়াপুরের পৈতৃকবাড়িতে খুন হন সব্যসাচী। নিহতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল রায়না থানায় তাঁর ছোট ভাই গৌরহরি, ভ্রাতৃবধূ ও দুই ভাইপোর নামে অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খুনের ঘটনায় এক ‘ভাইপো’রও যোগ পেয়েছে। খুনের কিছুক্ষণ আগে, দেরিয়াপুরে মোটরবাইক নিয়ে তাঁর উপস্থিতিও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। উদ্ধার করা হয়েছে মোটরবাইকটিও। তবে এখনও এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তেরা পুলিশের নাগালের বাইরে।
তদন্তকারীদের দাবি, মহম্মদ জানিসার আলম ওরফে রিকিই ‘সুপারি’ নিয়ে নারকেলডাঙা থেকে ছ’জনকে নিয়ে একটি দল গড়ে। খুনের আগে দু’-তিন মাস প্রস্তুতি নেয়। কলকাতা থেকে গাড়ি করে দেরিয়াপুরে যাতায়াতের সময় চালকের পাশে সদ্য ধরা পড়া মহম্মদ জাভেদ আখতারকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে বলেও জানান তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই তিনি মোবাইল বন্ধ করে ‘লুকিয়ে’ ছিলেন। রবিবার তাঁকে প্রথমে নারকেলডাঙা এলাকায় দেখা যায়। খবর পেয়েই তাঁর গতিবিধি নজরে রাখতে শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, জাভেদের নামে কলকাতার বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে। সিসি (ক্লোজ়ড সার্কিট) ক্যামেরার ব্যবসা রয়েছে রিকির। সে সূত্রে তাঁদের পরিচয়। পুলিশের দাবি, ধৃত জেরায় তাঁদের জানিয়েছেন, টাকার লোভেই এই ঘটনায় জড়িয়েছেন তিনি। খুনের সময়ে তিনি বাড়ির ভিতরে ছিলেন না, বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন। যদিও তদন্তকারীদের অনুমান, সব্যসাচীকে খুনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল জাভেদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy