Advertisement
০৪ মে ২০২৪

কাউন্সিলরকে মারধরের নালিশ, ক্ষোভ

৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীর হাসিম পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কয়েক জনের সঙ্গে নিয়ামতপুরেই দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। অভিযোগ, আচমকা এক যুবক দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে মীর হাসিমকে গালিগালাজ করেন।

নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০১:৩৯
Share: Save:

মারধর করা হয়েছে আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ (সংখ্যালঘু উন্নয়ন) মীর হাসিমকে। এমনই অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কুলটির নিয়ামতপুরের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছাড়ায়। মেয়র পারিষদের অনুগামীদের একাংশ ‘দোষী’-কে গ্রেফতারের দাবিতে ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীর হাসিম পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কয়েক জনের সঙ্গে নিয়ামতপুরেই দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। অভিযোগ, আচমকা এক যুবক দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে মীর হাসিমকে গালিগালাজ করেন। সেখানে থাকা মীরের অনুগামীদের কয়েক জন ওই যুবককে কার্যালয়ের বাইরে বার করে দেন। মীরের অভিযোগ, ‘‘খানিক বাদেই ওই যুবক ফের কার্যালয়ে ঢুকে আমার কলার ধরে মারধর করেন।’’

বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মেয়র পারিষদের অনুগামীরা ‘মারমুখী’ হয়ে উঠতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত, জানা যায় স্থানীয় সূত্রে। ওই রাতেই শ’দেড়েক স্থানীয় বাসিন্দা নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে জড়ো হয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় আনা হয়। মীর হাসিমের কাছে অভিযুক্ত যুবক নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি।

কিন্তু কেন এই ‘মার’, তা নিয়ে চর্চা রয়েছে এলাকায়। এলাকাবাসী ও তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীদের একাংশের মতে, এই ঘটনায় আসলে দলের কোন্দলই সামনে এসেছে। তাঁরা জানান, এলাকার কর্তৃত্ব বজায় রাখাকে কেন্দ্র করে বহুদিন থেকেই মীর হাসিমের অনুগামীদের সঙ্গে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনের বিবাদ চলছে। দলের উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে ভোটের মুখে সেই ‘বিবাদে’ প্রলেপ পড়ে। কিন্তু ভোট মিটতেই ফের প্রকাশ্যে এল কোন্দল, মনে করছেন তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীদের একাংশ।

যদিও তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কোনও গোষ্ঠী বিবাদ নেই। অভিযুক্ত যুবক আমাদের কর্মীও নন।’’ এই বিষয়টি জানার পরেই দলীয় পর্যায়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। তবে মীর হাসিমের অভিযোগ, ‘‘সম্প্রতি ওই যুবক কিছু অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাই হয়তো মনোবল বেড়ে যাওয়ায়

এই হামলা।’’

ঘটনাচক্রে, চার মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নিয়ামতপুর এলাকায় কোনও তৃণমূল কাউন্সিলর আক্রান্ত হলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে পড়শিদের হাতে প্রহৃত হন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা সাউ। সে বারও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করেন কাউন্সিলরের অনুগামীরা। ওই ঘটনাতেও দলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বিষয়টিকে ‘পারিবারিক বিবাদ’ বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Police TMC Councilor Asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE