আলু পেয়াঁজের দাম পাচ্ছেন না চাষীরা। — ফাইল চিত্র।
জমি থেকে তোলার পরে লাভজনক দর মিলছে না ফসলের। এমনই অভিযোগ করেছেন আলু, পেঁয়াজ চাষিরা। পথে পেঁয়াজ ফেলে অবরোধও হয়েছে জেলার কয়েক জায়গায়। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফসলের দর না মেলা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।
বর্তমানে মাঠ থেকে তোলার পরে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। মণ প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা দরে। মণ প্রতি ২০০ টাকা দরেও পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে হয়েছে, দাবি চাষিদের। ইতিমধ্যে পূর্বস্থলী ১, কালনা ২-সহ বেশ কিছু ব্লকে কৃষকসভার তরফে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। পেঁয়াজ রাস্তায় ফেলেও চলেছে বিক্ষোভ। বুধবার কালনা ২ ব্লকে সেনেরডাঙা বাজারে কৃষকসভার তরফে রাস্তা অবরোধ করা হয়। সংগঠনের দাবি, সরকারকে আলু কিনে নিতে হবে হাজার টাকা কুইন্টাল দরে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি কৃষি ঋণও মুকুব করতে হবে। কৃষকসভার জেলা নেতারা জানান, ১১ মার্চ ফসলের লাভজনক দর না মেলা-সহ নানা দাবিতে রাজ্যের নানা জায়গায় জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হবে। পূর্ব বর্ধমানের পালসিটে জাতীয় সড়কেও এই কর্মসূচি হবে।
কৃষকসভার জেলা কমিটির সদস্য নবকুমার বাগ বলেন, ‘‘আলু, পেঁয়াজের লাভজনক দর না থাকায় চাষিদের অবস্থা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। আলুর ফলন কম হয়েছে। সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি জমিতে ১০ থেকে ১৪ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, আলুর যা সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেছে সরকার তার থেকে বেশি দামে খোলা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে। কুইন্টাল প্রতি হাজার টাকা দরে আলু কেনার দাবিতে আন্দোলন চলবে, দাবি তাঁর।
চাষিদের ক্ষোভের আঁচ পেয়েছেন বিজেপি নেতানেত্রীরাও। কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চাষে লাভ করতে না পারার ফলে হতাশা বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। অনেকে ঋণের জালেও জড়িয়ে পড়ছেন।’’ ২০ মার্চ পর্যন্ত দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। তার পরেই চাষিদের দুর্দশা নিয়ে পথে নামবেন দলীয় কর্মীরা, দাবি তাঁর। যদিও বিরোধীদের সোচ্চার হওয়ার বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের রাজ্যের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘আলু, পেঁয়াজের দর বাড়তে শুরু করেছে। সরকার আলু কেনার কথা ঘোষণাও করেছে। সরকার যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা চাষিরা ভাল ভাবে জানেন। বিরোধীদের কোনও কর্মসূচি প্রভাব ফেলতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy