আমন্ত্রণ জানানোর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। নতুন জেলা ঘোষণার দিন তাদের দুর্গাপুরের বিধায়কদের সভায় আমন্ত্রণ না জানানোয় অসৌজন্যের অভিযোগ তুলল সিপিএম এবং কংগ্রেসও।
একে নতুন জেলায় শহরকে সদর করা হয়নি, তার উপরে কমে গিয়েছে মহকুমার আয়তন— এ নিয়ে দুর্গাপুরে বিরোধীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে বেশ কিছু দিন ধরেই। দুই বিধায়ক সিপিএমের সন্তোষ দেবরায় ও কংগ্রেসের বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে জেলা ভাগের সভায় আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
এ দিন সভার গোড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসানসোল, বারাবনি থেকে আমার বিধায়কেরা এসেছেন। দুর্গাপুর থেকেও অনেকে এসেছেন। অপু (অপূর্ব মুখোপাধ্যায়), নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়েরা এসেছেন।’’ দুর্গাপুরে বিরোধীদের ক্ষোভ, অপূর্ববাবু ও নিখিলবাবু প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। বর্তমান দুই বিধায়কই বিরোধী দলের বলে তাঁদের ডাকা হয়নি, অভিযোগ তাদের। শহরের সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার, কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীদের টিপ্পনী, ‘‘বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের সরকারি অনুষ্ঠানে না ডাকা বর্তমান শাসকদল অভ্যাসে পরিণত করেছে।’’ মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরা শুধু বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট দফতরের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী আমন্ত্রণ করা হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরের জন্য যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করেছেন তাঁর মধ্যে রয়েছে নতুন প্রশাসনিক ভবন, এডিডিএ-র চারতলা অতিথিশালা, মডেল লেবার ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সংস্কার, জহরলাল নেহরু রোডের সংস্কার ও সম্প্রসারণ, সিটি সেন্টারের লেকের উপরে নতুন সেতু তৈরি-সহ কয়েকটি প্রকল্প। সব মিলিয়ে খরচ হবে ৫০ কোটি টাকারও বেশি। তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসনিক কাজেও এ বার শহরবাসীর সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy