Advertisement
E-Paper

শহর ‘নির্মল’ করতে তৎপরতার নির্দেশ

শহরের আশপাশের গ্রামীণ এলাকা ‘নির্মল’ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। দুর্গাপুর পুরসভা এলাকা সে ব্যাপারে এখনও যথেষ্ট পিছিয়ে। অথচ, ৩১ মার্চের মধ্যে পুরো জেলা নির্মল ঘোষণা করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৭

শহরের আশপাশের গ্রামীণ এলাকা ‘নির্মল’ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। দুর্গাপুর পুরসভা এলাকা সে ব্যাপারে এখনও যথেষ্ট পিছিয়ে। অথচ, ৩১ মার্চের মধ্যে পুরো জেলা নির্মল ঘোষণা করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কাজ কতটা এগিয়েছে, তা তদারক করতে বুধবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে দুর্গাপুরে বৈঠক করলেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। তিনি জানান, কাজ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। কোন-কোন দিকে আরও তৎপরতা প্রয়োজন, সে নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়। তবে বৈঠকে শাসকদলের ছ’জন কাউন্সিলর যোগ না দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত বস্তি এলাকাতেই শৌচাগারের অভাব বেশি। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী, দুর্গাপুর শহরের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার। যার মধ্যে বস্তিবাসী প্রায় ৪৪ হাজার, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ। প্রশাসনের একাংশের মতে, গত চার বছরে শহরের বাসিন্দা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বস্তিবাসীর সংখ্যাও। ডিএসপি টাউনশিপে রয়েছে জেসি বোস-আইনস্টাইন বস্তি, দেশবন্ধু বস্তি। এ ছাড়া লেবারহাট, কোর্ট মোড়, তামলা, পলাশতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বস্তি রয়েছে। সিটি সেন্টারের কাছেই রয়েছে রাঁচি কলোনি, কলাবাগান বস্তি এলাকা। এই সব জায়গায় শৌচাগারের অভাব মেটাতে পুরসভার তরফে কমিউনিটি শৌচাগার গড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা ব্যবহার কতটা হয়, সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। কোথাও জলের অভাব, কোথাও সংস্কারের অভাব, আবার কোথাও সচেতনতা গড়ে না ওঠায় সমস্যা রয়েই গিয়েছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের এ ব্যাপারে ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি শৌচাগারগুলিতে জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাড়ি-বাড়ি শৌচাগার তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, প্রায় ১৬ হাজার শৌচাগার গড়তে হবে। পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪ হাজারে।

এ ছাড়াও ডিএসপি, ডিপিএল বা এডিডিএ-র জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা বস্তিতে কমিউনিটি শৌচাগার গড়ার অনুমোদন মিলছে না বলে অভিযোগ ওঠে বারবার। পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ দিন বৈঠকে‌ এ সব বিষয় আলোচনা হয়েছে। কাজের গতি আরও বাড়ানো হবে।’’

বৈঠকে তৃণমূলের ছ’জন কাউন্সিলরের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগাম কিছু না জানিয়ে বা কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁরা প্রশাসনিক বৈঠকে গরহাজির থাকায় দলের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়। ডেপুটি মেয়র শুধু বলেন, ‘‘আশা করি সবাই নিজেদের ভূমিকা ঠিক ভাবে পালন করবেন।’’

clean city
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy