Advertisement
E-Paper

হয়নি উড়ালপুল, নিত্য দুর্ভোগ বন্ধ রেলগেটে

প্রতি দিন রাজধানী, শতাব্দীর মতো নানা এক্সপ্রেস-সহ দূরপাল্লার বহু ট্রেন, বেশ কিছু লোকাল ট্রেন ও মালগাড়ি যাতায়াত করে। তাই দিনের অনেকটা সময় বন্ধ থাকে রেলগেট। আটকে থাকতে হয় গাড়ি, মোটরবাইকের আরোহী থেকে পথচারীদের। ব্যস্ত সময়ে যানজটও তৈরি হয়। দুর্গাপুরের এই মায়াবাজার রেলগেটে একটি উড়ালপুল তৈরির জন্য বহু বার আর্জি জানিয়েও ফল হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৫ ০১:৩৫
অপেক্ষার নিত্য চিত্র। নিজস্ব চিত্র।

অপেক্ষার নিত্য চিত্র। নিজস্ব চিত্র।

প্রতি দিন রাজধানী, শতাব্দীর মতো নানা এক্সপ্রেস-সহ দূরপাল্লার বহু ট্রেন, বেশ কিছু লোকাল ট্রেন ও মালগাড়ি যাতায়াত করে। তাই দিনের অনেকটা সময় বন্ধ থাকে রেলগেট। আটকে থাকতে হয় গাড়ি, মোটরবাইকের আরোহী থেকে পথচারীদের। ব্যস্ত সময়ে যানজটও তৈরি হয়। দুর্গাপুরের এই মায়াবাজার রেলগেটে একটি উড়ালপুল তৈরির জন্য বহু বার আর্জি জানিয়েও ফল হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
এই এলাকা দিয়ে গিয়েছে হাওড়া-দিল্লি রেললাইন। বাসিন্দারা জানান, মায়াবাজারে রেলগেট পেরোনো তাঁদের কাছে প্রায় দুঃস্বপ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলগেট এক বার বন্ধ হলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্কুল পড়ুয়া থেকে অফিসযাত্রী, সকলেই সমস্যায় পড়েন। মায়াবাজারের কাছেই রয়েছে দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (ডিটিপিএস)। বেনাচিতি, সিটি সেন্টার-সহ শহরের নানা এলাকা থেকে অনেকেই সেখানে কাজে আসেন। নিত্য দিন রেলগেটে আটকে থাকতে হয় তাঁদের। মায়াবাজারের পাশে রয়েছে অর্জুনপুর, পুরষা, রাতুড়িয়া, অঙ্গদপুরের মতো জনবহুল এলাকা। নানা প্রয়োজনে সেখানকার মানুষজনকে এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। অর্জুনপুরের বাসিন্দা শ্রীজিৎ গোস্বামী বলেন, ‘‘এক বার রেলগেট পড়লে আর ওঠার নাম নেই। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য হাতে সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়।’’
বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা ছাড়া গ্যামন ব্রিজ হয়ে যাতায়াতের আর একটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু সে দিক দিয়ে গেলে অনেকটা ঘুরপথ হয়। সময়ও বেশি লাগে। স্থানীয় বাসিন্দা দীলিপ সিংহ জানান, রোগী নিয়ে গেলে রেলগেটে সমস্যায় পড়তে হয়। দিন কয়েক আগে রাতে এই রাস্তা দিয়েই এক রোগীকে নিয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন দেবাশিস রায়। তিনি জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয়েছিল। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী অর্জুনপুরের বাসিন্দা স্বস্তিকা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অধিকাংশ দিন বাসে করে যাওয়ার সময়ে রেলগেটে আটকে কলেজে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। পরীক্ষার সময়ে অনেক আগে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়।’’ রেলগেট বন্ধ থাকায় অনেকেই হেঁটে লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যান। তাতে বিপদের আশঙ্কায় থেকে যায়। বাসিন্দাদের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এখানে একটি উড়ালপুলের দাবি জানিয়ে বহু বার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।

পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বনাথ মুর্মু বলেন, ‘‘উড়ালপুল তৈরিতে রাজ্য সরকার ও রেলের যৌথ উদ্যোগের দরকার হয়। রাজ্যের তরফে এমন কোনও প্রস্তাব এলে বিবেচনা করে দেখা হবে।’’

Durgapur Passengers rail gate mayabazar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy