চিকিত্সা করাতে এসে হাসপাতালের ভেতরেই চিকিত্সকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত চিকিত্সক।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে চোট পেয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বছর পঁচিশের ওই গৃহবধু। মহিলার শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। তাঁর বাপের বাড়ি বর্ধমানের জামালপুরের ব্রহ্মপুরে। শুক্রবার রাতে সেখানেই পড়ে গিয়ে চোট পান ওই মহিলা। প্রথমে গ্রামের হাতুড়ে চিকিত্সকের কাছে আহত মহিলাকে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। পরে রাতেই তাঁকে নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালে পৌঁছন তাঁর পরিবারের লোকেরা। হাসপাতালের এমার্জেন্সি অবসার্ভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ঘরের মধ্যে ওই মহিলাকে একা পেয়ে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন চিকিত্সক। মহিলার চেঁচামেচি শুনে ওয়ার্ডের ভেতরে ছুটে আসেন তাঁর এক আত্মীয়া। ওয়ার্ডের বাইরে জড়ো হন রোগীর অন্য আত্মীয়রা। তাঁরা চিকিত্সককে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অন্য রোগীদের আত্মীয়রাও। এর মধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত চিকিত্সক।
শনিবার সকালে হাসপাতাল সুপার উত্পল দাঁয়ের কাছে অভিযোগ জানান রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ মতো অভিযুক্ত চিকিত্সককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy