রাস্তা সারানোর দাবিতে মিছিল কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র।
প্রায়শই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। খানাখন্দে বেহাল হয়ে রয়েছে শহরে ঢোকার জন্য জরুরি কাটোয়া স্টেশন বাজার রোড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বারবার আর্জি জানিয়েও সুরাহা হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার পুরপ্রধানের দ্বারস্থ হন শ’দুয়েক স্থানীয় বাসিন্দা। পালিটা রোড থেকে মিছিল করে পুরসভায় স্মারকলিপিও দেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই হাল খারাপ স্টেশন লাগোয়া ওই রাস্তার। খানাখন্দে পথ চলাই কার্যত দুষ্কর। পালিটা রোড থেকে স্টেশন বাজার হয়ে চৌরাস্তা পর্যন্ত ঘুরেও দেখা যায়, রাস্তার বেশির ভাগটাই ভাঙা। ফলে কখনও পথচারীরা হাঁটতে গিয়ে গর্তে পড়ছেন তো কখনও রিকশা, মোটরবাইক দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টি হলে তো সর্বনাশ আরও। এলাকাবাসীদের দাবি, গর্তে জল জমে কতখানি গভীর তা বোঝা যায় না। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আবার রাস্তার দু’ধার জুড়ে বাজার বসে। ফলে বাজারের বর্জ্যের সঙ্গে বৃষ্টির জল মিশে পাঁকে, কাদায় হাঁটাই দায় হয়। ব্যবসায়ীদের আবার অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় তো জল দাঁড়িয়ে যায়, কখনও উপচে ঢুকে পড়ে দোকানেও। কিন্তু বারবার অভিযোগ জানিয়েও কিছু হয়নি। ব্যবসায়ী স্বপন সাহা, সঞ্জীব দত্তদের দাবি, রাস্তা সংস্কার করে, নিকাশি ঠিকমতো হলে জলের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। বেহাল রাস্তার সঙ্গে রেলের নতুন কালভার্ট নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে অনেকের। অনুপ সাহা, গোপাল সাহাদের অভিযোগ, কালভার্ট হয়ে গেলে রেল কলোনির নোংরা জলও এসে পড়বে স্টেশন বাজারে। ফলে দূষণ তো ছড়াবেই সঙ্গে অল্প বৃষ্টিতে নর্দমা ছাপিয়ে জল ভেসে যাবে নিচু স্টেশনবাজার এলাকা। দুর্ভোগের শিকার হবেন ১৮ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
এ দিন মিছিল করে পুরসভায় এসে স্থানীয় অপূর্ব চক্রবর্তী দাবি করেন, গত শুক্রবার মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বার পুরপ্রধানকেও জানানো হল। এরপরেও রাস্তার হাল না ফিরলে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে নামবেন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে কালভার্টটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার আর্জি জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
পুরপ্রধান অমর রাম জানান, স্টেশন থেকে শুরু করে চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটি রেলের। আর পালিটা রোড সংলগ্ন রাস্তাটি জেলা পরিষদের। রেলের কাছে এই বিষয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করা হবে। জেলা পরিষদকেও জানানো হয়েছে রাস্তা সারানোর বিষয়টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy