জলের নীচের পাথরে জমেছে শ্যাওলা। ছোট-বড় পাথরের খাঁজে পা আটকালেই বিপদ। প্রশাসনের তরফে বিপজ্জনক বলে নির্দেশিকাও ঝোলানো রয়েছে। তারপরেও কাটোয়ায় ভাগীরথীর দেবরাজ ঘাটে সোমবার ভিড় করে তর্পণ করতে দেখা গেল বাসিন্দাদের।
তাঁদের দাবি, সব ঘাটগুলোরই কমবেশি এক অবস্থা। বছরের এই দিনে নিয়ম তো মানতে হবে। প্রশাসনেরও আশ্বাস, পুলিশ, সিভিক পুলিশ রয়েছে। কর্মীরা নজর রাখছেন।
গত বছর মহালয়ার দিন তর্পণ করতে গিয়ে দেবরাজ ঘাটে তলিয়ে যান আসানসোলের এক যুবক। তার দু’দিন পরে পুজোর জন্য ঘট ভরতে এসে ওই একই ঘাটে তলিয়ে যায় বর্ধমানের দে’পাড়ার বছর সতেরোর এক কিশোর। তারপরেই তড়িঘড়ি দেবরাজ ঘাটকে বিপজ্জনক ঘোষনা করে মহকুমা প্রশাসন। ঘাটে নামার প্রথম সিঁড়িতেই ‘ঘাটে স্নান বিপজ্জনক’ লিখে সতর্কীকরণ ফ্লেক্স ও ব্যারিকেড দেওয়া হয়। ঘাটে নামার শেষ সিঁড়ি বরাবর বাঁশের ব্যারিকেডও দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন পরেই ওই ব্যারিকেড ভেঙে যায়। ঘাটে নেমে স্নানও শুরু করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।