অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক নিরাপত্তাকর্মীও। বুধবার রাতের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরে ফের হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রোগীর পরিজনেরা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে কী ভাবে ভাঙচুর চালালেন, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। তবে কোনও চিকিৎসক এখনও লিখিত অভিযোগ করেননি। এক নিরাপত্তা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের পুলিশ ধরেছে বলে শুনেছি।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনায় আহত এক যুবতীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন কয়েকজন যুবক। সঙ্গে সঙ্গেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে ওই যুবতীর চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁর পা ভেঙেছিল। অভিযোগ, চিকিৎসার মাঝে ওই যুবতী চিৎকার করতেই কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই যুবকেরা। কথা কাটাকাটির মাধে ওই ডাক্তারের উপর হাত তোলা হয় হয় বলেও অভিযোগ। ওই দলের কয়েকজন অপারেশন থিয়েটারের জিনিসপত্র ফেলে ভাঙচুর করেন বলেও দাবি হাসপাতালের কর্মীদের। পরিস্থিতি দেখে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে ফোন করতে যান নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ, তাঁর উপর চড়াও হয়েও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে থানায় অভিযোগ করেন ওই নিরাপত্তা কর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পাঁচ জনের নাম বাবু সিংহ, সঞ্জীব সিংহ, সম্রাট সিংহ, বাপি সিংহ ও বিট্টু মালিক। বিট্টু ছাড়া সকলের বাড়ি বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায়। বিট্টুর বাড়ি বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকায়। ধৃতদের এ দিন আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের জেল হাজত হয়।