Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নড়বড়ে কাঠের সেতু দিয়েই পার হয় বাস, বালির ট্রাক

দু’বছর আগেই পুরনো কাঠের সেতুতে যান চলাচল নিষিদ্ধ হয়েছিল। তার পরেও বালিবোঝাই ট্রাক থেকে বাস, গাড়ি সবই চলত গলসির খেতুড়ার ওই সেতুতে। মাঝেসাঝেই দুর্ঘটনাও ঘটে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নতুন সেতুর কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গড়িমসিতে তা শেষ হয়নি।

ঝুঁকি: গলসির খেতুড়া সেতুতে এভাবেই চলে পারাপার। নিজস্ব চিত্র

ঝুঁকি: গলসির খেতুড়া সেতুতে এভাবেই চলে পারাপার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গলসি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪৮
Share: Save:

দু’বছর আগেই পুরনো কাঠের সেতুতে যান চলাচল নিষিদ্ধ হয়েছিল। তার পরেও বালিবোঝাই ট্রাক থেকে বাস, গাড়ি সবই চলত গলসির খেতুড়ার ওই সেতুতে। মাঝেসাঝেই দুর্ঘটনাও ঘটে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নতুন সেতুর কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গড়িমসিতে তা শেষ হয়নি। ফলে প্রাণ হাতে নিয়ে চলতে হচ্ছে। মঙ্গলবার গলসি ২ ব্লকের বিডিও-র কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারিছা, ইরকোনা, রামপুর, গোহগ্রাম-সহ মোট ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নির্ভর করেন এই সেতুটির উপরে। সেতুটি বেশ কয়েকবছর যাবৎ নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু তার পরেও ওই সেতু দিয়েই পণ্যবোঝাই ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস-সহ নানা গাড়ি চলাচল করে। বিপদ এড়াতে বাসগুলি সেতুর আগে যাত্রীদের মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দেয় বলে বাসিন্দারা জানান।

কিন্তু তার পরেও বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকী সোমবারই ওই কাঠের সেতুর মাঝে উল্টে যায় ধানবোঝাই একটি ট্রাক্টর। এর ফলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গ্রামগুলির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের আরও চার কিলোমিটার ঘুরে দরবারপুর সেতু দিয়ে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। নবকুমার হাজরা নামে এক বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘এই সেতুটি মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঘুরপথে যেতে হওয়ায় সময়, জ্বালানির খরচ দুইই বাড়ছে।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, সেচ দফতর দেড় বছরের মধ্যে অর্ধেন্দু মণ্ডল নামে এক ঠিকাদারকে নতুন সেতু তৈরি করার বরাত দেয়। কিন্তু বাসিন্দাদের ক্ষোভ, তার পরেও সেতু তৈরি হয়নি। সমস্যারও সমাধান হয়নি। যদিও অর্ধেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘সেতুর জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।’’

বিডিও অপূর্বকুমার বিশ্বাসের দাবি, ‘‘সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন সেতুর কাজ শেষ হবে।’’ সেচ দফতরের আধিকারিক কৌশিক সরকার বলেন, ‘‘কাঠের সেতুটির বিষয়ে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। নতুন সেতু তৈরির জন্য ১৫ মে পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dilapidated bridge Galsi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE