Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Picnic

বড়দিনে মাস্ক ছাড়াই পিকনিক

শুক্রবার প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষ এসেছিলেন চুপি গ্রামের পাখিরালয়ের আশেপাশে। অনেকে নৌকায় ঘুরে দেশ বিদেশ থেকে আসা অজস্র পরিযায়ী পাখি দেখেছেন।

মন্তেশ্বরে পিকনিকে হুল্লোড়। নিজস্ব চিত্র।

মন্তেশ্বরে পিকনিকে হুল্লোড়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৪৯
Share: Save:

বড়দিনের পিকনিকে বহু মানুষ এসেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয়ে। তবে বেশির ভাগেরই মুখে দেখা গেল না মাস্ক। পর্যটকেদের অনেকেই দাবি করেন, চেনাজানা লোকেদের সঙ্গে এসেছেন। তাই ভয় নেই। যদিও একটু অসাবধান হলেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সর্তক করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। পুলিশ, প্রশাসনের দাবি, মাস্ক না পরার বিষয়টি নজরে এসেছে। প্রয়োজনে প্রচার চালানো হবে।

করোনা-পরিস্থিতি চলায় এ বার শীতের শুরু থেকেই পাখিরালয়ে তেমন পর্যটকদের দেখা যায়নি। গত দিন দশেক ধরে অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। ক্রমশ ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পাখিরালয়ে। পুলিশের হিসেবে, শুক্রবার প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষ এসেছিলেন চুপি গ্রামের পাখিরালয়ের আশেপাশে। তাঁদের অনেকে সকালে নৌকায় ঘুরে দেশ বিদেশ থেকে আসা অজস্র পরিযায়ী পাখি দেখেছেন। বেলা ১০টার পরে শুরু হয়েছে রান্নার প্রস্তুতি। সন্ধ্যা পর্যন্ত দলে দলে পিকনিক করে গিয়েছেন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেউ কেউ গাড়ি ভাড়া করে এসেছেন। আবার অনেকেই এসেছেন ট্রেনে। তবে বাইরে থেকে আসা বেশির ভাগ লোকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।

বহরমপুর থেকে এসেছিলেন প্রদীপ মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘মাস্ক পড়ে ঘোরাঘুরি করতে অস্বস্তি হয়। করোনা-পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তাই আর মাস্ক ব্যবহার করিনি।’’ সারা দিন অজস্র পাখির ছবি তুলে পিকনিক সেরে বাড়ি যাওয়ার পথে গোবিন্দ লস্কর নামে এক জন দাবি করেন, ‘‘করোনার ভয়াবহ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখন আর তাই মাস্ক ব্যবহার করি না।’’ পূর্বস্থলী ২-এর বিডিও সৌমিক বাগচি বলেন, ‘‘পাখিরালয়ে মাইক নিষিদ্ধ। পর্যটকেরা যাতে মাস্ক পরেন, তার প্রচার চালানো হবে।’’

মন্তেশ্বরের মালডাঙা এলাকায় খড়ি নদীর ধারেও এ দিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন পিকনিক করতে জড়ো হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি দল বিগত বছরগুলিতে হাজির হলেও এ বছর খান দশেক দল আসে। বাঘাসন, মন্তেশ্বর, খাঁপুর, বেগুনপুর গ্রাম থেকে কচিকাঁচা-সহ মহিলাদের ছুটি কাটাতে দেখা যায়। তাঁদেরও অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। যদিও আগমনী রায়, শ্যামলী মান্ডি, তপতী চন্দ্রদের দাবি, অন্য বছরের তুলনায় ভিড় কম। তাই মাস্ক খুলে রেখেছিলেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Picnic Christmas Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE