Advertisement
E-Paper

মিষ্টি মুখে মন্তেশ্বরে পীর-মেলা

পেল্লাই আকার। এক একটির দাম তিনশো-চারশো টাকা। মন্তেশ্বরের ভেলিয়া গ্রামে পীরের মেলায় মেলে এমনই বিশালাকৃতি মিষ্টি। বাসিন্দারা জানান, ভক্তি তো বটেই, পাশাপাশি জিভে জল আনা এই মিষ্টিরও বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০১:১৫
•মিষ্টি: মন্তেশ্বরের ভেলিয়া গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

•মিষ্টি: মন্তেশ্বরের ভেলিয়া গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

পেল্লাই আকার। এক একটির দাম তিনশো-চারশো টাকা। মন্তেশ্বরের ভেলিয়া গ্রামে পীরের মেলায় মেলে এমনই বিশালাকৃতি মিষ্টি। বাসিন্দারা জানান, ভক্তি তো বটেই, পাশাপাশি জিভে জল আনা এই মিষ্টিরও বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে এলাকায়।

মেলা কমিটির তরফে সেলিম শেখ জানান, প্রতি বছর ৯ চৈত্র থেকে পীর হজরত গোলাম চিস্তির স্মরণে এই মেলা বসে। মেলা চলে দু’সপ্তাহ। ধর্ম নির্বিশেষে যোগ দেন, ভেলিয়া, দেওয়ানগাধি, আমাটিয়া, বসতপুর, মুরুলিয়া, পিয়া, মিরপুর, খাঁদরা, সোনাগাছি, মধ্যমগ্রাম-সহ অন্তত ৩০টি এলাকার মানুষ। বসে লেটো গানের আসর। এ বার মেলার উদ্বোধন করেছেন মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা।

পীরের মাজারে চাদর চড়ানোর পাশাপাশি চলছে মিষ্টি মুখও। তাও যে সে মিষ্টি নয়। এক একটি মিষ্টিতে লেগেছে ৫০০ গ্রাম থেকে আড়াই কেজি ছানা। গ্রামের পীরের পুকুরের পাশে বিশাল এলাকায় বসেছে মিষ্টির দোকান। দোকানদারেরা জানান, মিষ্টির জন্য ফি দিন কয়েক কুইন্ট্যাল ছানা দরকার হচ্ছে। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, এক দিকে বড় বড় কড়াইয়ে হাল্কা আঁচে তৈরি হচ্ছে বিশালাকার সব মিষ্টি। মিষ্টি তৈরি হতেই ভিড় জমাচ্ছেন ভোজনপ্রিয় বাঙালি। মেলায় আসা সরফুল শেখ, সুমন্ত রায়রা বলেন, ‘‘বন্ধুদের সঙ্গে এই মিষ্টি ভাগ করে খাওয়ার আনন্দই আলাদা।’’

তবে, এই ধরনের মিষ্টি তৈরির জন্য সময় বেশি লাগে। ভেঙে যাওয়ারও ভয় থাকে। কিন্তু রসনাতৃপ্তির জন্য সে সব পরোয়া করার সময় নেই বলে জানান মিষ্টির ব্যবসায়ী রতন মোদক, হাফিজুল মোদকেরা।

Monteswar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy