Advertisement
E-Paper

অভিযুক্তের মাকে দড়ি বেঁধে হাঁটানোর নালিশ

শনিবার রাতে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগরের মহালক্ষ্মী পার্কের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৭:০০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মোবাইল চোর সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি, কয়েকজনের বিরুদ্ধে এক অভিযুক্তকে বেঁধে মারধর এবং অন্য অভিযুক্তের মাকে কোমরে দড়ি বেঁধে রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগরের মহালক্ষ্মী পার্কের ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ওই দিন সন্ধ্যায়। মামরা বাজারের এক ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, অভিযুক্ত দুই যুবক শনিবার তাঁর দোকানে যান। দোকানে ঢুকে গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে নেয় তারা। এর পরে ‘ক্যাশ কাউন্টার’ থেকে মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ় দেখে এক জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় বলে দাবি তাঁর। আশপাশের ব্যবসায়ীদের তিনি দুই যুবকের ছবি দেখান। জানা যায়, এক অভিযুক্তের বাড়ি বিধাননগরের ঝর্ণাপল্লিতে। এর পরেই ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর সঙ্গীরা রাতে ঝর্ণাপল্লিতে এক অভিযুক্তের বাড়ি যান। তাঁরা ওই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর সঙ্গীদের একাংশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ঝর্ণাপল্লির বাসিন্দা ওই অভিযুক্তের থেকে তাঁরা জানতে পারেন, সে মোবাইলটি মহালক্ষ্মী পার্কের বাসিন্দা তার সঙ্গীকে দিয়েছে। এর পরেই ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে মহালক্ষ্মী পার্কে অন্য অভিযুক্তের বাড়িতে আসেন তাঁরা। কিন্তু সেই মুহূর্তে মহালক্ষ্মী পার্কের অন্য অভিযুক্ত বাড়িতে ছিল না বলে দাবি।

এমন পরিস্থিতিতে আইন নিজের হাতে তোলার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর সঙ্গীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ঝর্ণাপল্লির বাসিন্দা অভিযুক্তকে কয়েকজন মিলে বেঁধে মারধর করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই অভিযুক্ত এবং মহালক্ষ্মী পার্কের বাসিন্দা অভিযুক্তের বাবাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

অভিযোগ, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মহালক্ষ্মী পার্কের কয়েকজন মহিলা অভিযুক্তের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তার মায়ের কোমরে দড়ি বেঁধে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে প্রকাশ্যে কয়েকশো মিটার দূরের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও রাতেই ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে পুুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে তাদের চার দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, মোবাইল চুরির সঙ্গে আরও কেউ ‘জড়িত’ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘যত মোবাইল চুরি হচ্ছে বা হারিয়ে গিয়েছে, সেগুলির বেশির ভাগই উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। তার পরেও জনতার এমন আচরণ ঠিক নয়।’’ পাশাপাশি, তাঁর সংযোজন: ‘‘কিছু ঘটলে বা সন্দেহ হলে পুলিশকে জানান, এই আর্জি জানাচ্ছি।’’

Durgapur Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy