Advertisement
E-Paper

ডিউটির মাঝে মদ, ধৃত পুলিশকর্মী

কালনার এএসআই পদমর্যাদার ওই কর্মীর নাম সাবির আলি মণ্ডল। আদালতে অভিযুক্তদের পাঠানোর আগে হাজতে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতেন বলে ‘হাজতবাবু’ বলেই পরিচিত তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪০
প্রতীকী ‌ছবি।

প্রতীকী ‌ছবি।

ডিউটি চলাকালীন মদ্যপান করার সময় হাতেনাতে ধরে পড়লেন এক পুলিশকর্মী। কালনার এএসআই পদমর্যাদার ওই কর্মীর নাম সাবির আলি মণ্ডল। আদালতে অভিযুক্তদের পাঠানোর আগে হাজতে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতেন বলে ‘হাজতবাবু’ বলেই পরিচিত তিনি। বুধবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি এখনও কিছু জানি না বিষয়টি। জানানো হলে তদন্ত করে দেখা হবে।’’

কালনা আদালতের গা ঘেঁষে রয়েছে হাজতখানা। বিভিন্ন থানা থেকে প্রতিদিন কোন-কোন আসামীকে পাঠানো হচ্ছে তা নথিভুক্ত করা হয় সেখানে। থানা থেকে আসা অভিযুক্তকে লকআপে ঢোকানো বা আদালতে জামিন মঞ্জুর না হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানোর দায়িত্বও তাঁর। বুধবার অবশ্য অন্য মেজাজেই ঘরে পাওয়া গেল তাঁকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক কনস্টেবলকে নিয়ে ডিউটির মাঝেই মদ্যপান করছিলেন তিনি। বেলা একটার পরে দু’জনেই বেসামাল হয়ে পড়েন। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভুলভাল কথা বলতেও দেখা যায় তাঁদের। ওই কার্যালয়ের কাছেই রয়েছে কোর্ট ইন্সপেক্টর তাপসকুমার দাসের কার্যালয়। তিনি এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর সঙ্গে তর্ক বেধে যায় হাজতবাবুর। ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে যান অন্য কনস্টেবলরা। খবর ছড়িয়ে পড়তে ভিড় করেন আদালতে নানা কাজে আসা মানুষজনও। এর মধ্যেই কোর্ট ইন্সপেক্টরের ফোন পেয়ে কালনা থেকে পুলিশ আসে। গ্রেফতার করা হয় ওই পুলিশকর্মীকে। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা সাবির আলি মণ্ডল গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ।

ঘটনার পরে তাপসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যা জানানোর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানাব।’’

Crime Responsibility Police Administration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy