E-Paper

অবৈধ বন্দুকের ‘ভুয়ো’ লাইসেন্সে রক্ষীর কাজ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা অবৈধ অস্ত্র কারবারে জড়িত অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৬
উদ্ধার কুলটিতে। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার কুলটিতে। নিজস্ব চিত্র

অবৈধ পথে বন্দুক কিনে সেগুলির ভুয়ো লাইসেন্স বানিয়ে বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তরক্ষী হিসেবে চাকরি করত ধৃতেরা, তাদের জেরা করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তাদের। বিষয়টি অত্যন্ত বিপজ্জনক ও চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন পুলিশের কর্তারা। ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কাররা জানিয়েছেন, যে সব সংস্থায় বেসরকারি সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হচ্ছে, ওই সব সংস্থা কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিস পাঠিয়ে সেই সব বন্দুক ও লাইসেন্স সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কারণ, শিল্পাঞ্চলে একাধিক নিরাপত্তা এজেন্সি ও সংস্থা রয়েছে, যেখান থেকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বা বহুতল আবাসনে পাহারা দেওয়ার জন্য সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের অস্থায়ী ভাবে
নিযুক্ত করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা অবৈধ অস্ত্র কারবারে জড়িত অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে কুলটিতে অবৈধ অস্ত্র কারবারিদের হদিস মিলেছে। ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ জানিয়েছেন, কুলটির ইটাভাটা এলাকার বাসিন্দা বিকি যাদব এই চক্রের মূল পান্ডা। গত ৫ সেপ্টেম্বর তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি উন্নত দেশি একনলা বন্দুক ও কয়েক রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সন্দীপের দাবি, জেরায় বিকি জানিয়েছে, সে বিহার থেকে দেশি বন্দুক কিনে এনে সেগুলির ভুয়ো লাইসেন্স বানিয়ে এলাকায় বিক্রি করে। এ সব বন্দুক ও লাইসেন্স কিনে কিছু লোক নানা বেসরকারি সংস্থা ও এজেন্সিতে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করছেন। সন্দীপ বলেন, “বিকিকে জেরা করে আরও চার জনকে এ সব বন্দুক ও লাইসেন্স কেনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের নাম জানা গিয়েছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।”

কুলটি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আপার কুলটির বাসিন্দা জয়নারায়ণ সিংহ, কেন্দুয়া বাজারের গোপাল কেশরী, ধেমোমেন কোলিয়ারি এলাকার প্রকাশ নুনিয়া ও ঝাড়খণ্ডের শেখ রাফাই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও এজেন্সিতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। ধৃত পাঁচ জন বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। ডিসিপি সন্দীপের দাবি, ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে রেখে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মূলত কোথায় এ সব অস্ত্র তৈরি হয়, কত টাকায় কেনাবেচা হয়, এই চক্রে আর কারা জড়িত, এ সবই তদন্তের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Asansol

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy