বিজেপি-র বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষ খুনে প্রধান অভিযুক্ত শেখ সইফুলকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার দুর্গাপুরে কমিশনারেটের ডিসি-র (পূর্ব) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই সময়ে পুলিশকর্মীদের কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে দশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ জনের ছ’দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকিদের জেল-হাজতের নির্দেশ দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাতে খুন হন সন্দীপ। বিজেপি-র অভিযোগ, জাটগড়িয়ার বাসিন্দা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, এলাকায় বালি মাফিয়া বলে পরিচিত শেখ সইফুলের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তবে অন্যতম অভিযুক্ত সইফুল এখনও অধরা। শুক্রবার সইফুলকে ধরার দাবিতে কর্মসূচি ছিল বিজেপি-র। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোরও অভিযোগ করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ পাল্টা দাবি করে, মিছিলকারীরা পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করেন। ঘটনার পরে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার রাতে দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি-র যুব নেতা ভোলা সাউ, পঙ্কজ গুপ্ত, টিঙ্কু ভার্মা, অমিত ঘোষ, রাজকুমার সিংহ, সন্তোষ গুপ্ত, রাজু মুখোপাধ্যায়-সহ দশ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের অভিযোগ, থানায় ডেকে পাঠিয়ে কোনও কিছু না জানিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের ইশারায় চলছে। খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। উল্টে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আমরা জখম হই। তার পরেও আমাদের দশ জন কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিনের ঘটনার রেকর্ডিং খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy