Advertisement
E-Paper

বাজি ঢোকা বন্ধ করতে নজর সীমানায়

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘সীমানা এলাকায় নাকা চেকিং দ্বিগুণ করা হয়েছে। পাঁচটি সীমানা এলাকায় এমনিতেই নাকা চেকিং চলে। এই সময়ে তা বাড়ানো হচ্ছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ০২:১২
শুক্রবার ডুবুরডিহিতে নজরদারি চোখে পড়েনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবার ডুবুরডিহিতে নজরদারি চোখে পড়েনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

প্রতি বছর বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে সীমানা পেরিয়ে বাজি আসে পশ্চিম বর্ধমানে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে, এই বাজি ঢোকা বন্ধ করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ, মনে করছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের একাংশ। তবে পুলিশ কমিশনার সুকেশ কুমার জৈনের দাবি, ‘‘বাজির ব্যবহার বন্ধে সব রকম পদক্ষেপ করা হবে।’’

কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরেও জেলায় বাজির দাপট কতটা রোখা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে শহরের পরিবেশকর্মীদের একাংশ। কারণ, দুর্গাপুজোর সময় থেকেই আসানসোল, দুর্গাপুরে বাজি বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে দু’-এক জায়গা থেকে শব্দবাজি ফাটার আওয়াজও মিলছে বলে দাবি নাগরিরকদের একাংশের। তাঁদের আরও অভিযোগ, কিছু এলাকায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে বাজি বিক্রি হচ্ছে। শিল্পাঞ্চলে পরিবেশ সচেতনতা তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত একটি সংগঠনের তরফে সপ্তর্ষি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলায় মূলত ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে বাজি ঢোকে। দুর্গাপুজো থেকে ছট পুজো পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বাজি মজুত রাখা হয়। সে বাজি নানা উৎসবে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। তাই সীমানায় এখনই নজরদারি বাড়ানো উচিত।’’

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রেও জানা গিয়েছে, প্রতিবারই কুলটি, বরাকর, বার্নপুর, আসানসোল বাজার, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, রূপনারায়ণপুরে শব্দবাজির দৌরাত্ম্যের অভিযোগ মেলে। এর মধ্যে সীমানা এলাকা হওয়ায় এই বাজি-দৌরাত্ম্যের খবর বেশি আসে কুলটি, বরাকর, রূপনারায়ণপুর থেকে। এই সব এলাকায় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, চিরকুণ্ডা, মুগমা, কুমারডুবি, কুণ্ডহিত, নলা ও নারায়ণপুর থেকে সীমানা পেরিয়ে বাজি ঢোকে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, কুলটির বরাকর ও ডুবুরডিহি, রূপনারায়ণপুরের বিহার রোড, চিত্তরঞ্জনের এক নম্বর গেট ও বারাবনির রুনাকুড়া ঘাট লাগোয়া অঞ্চল— এই পাঁচটি সীমানা এলাকা রয়েছে জেলায়। এগুলি দিয়েই বাজি ঢোকে প্রতি বছর।

কিন্তু এই বাজি ঢোকা বন্ধে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে? পর্ষদের আসানসোল শাখার চিফ ইঞ্জিনিয়ার স্বরূপ মণ্ডল বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ যে কোনও মূল্যে পালন করা হবে। বিশেষ ব্যবস্থা কী নিতে হবে, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।’’ তবে ইতিমধ্যেই বাজির বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘সীমানা এলাকায় নাকা চেকিং দ্বিগুণ করা হয়েছে। পাঁচটি সীমানা এলাকায় এমনিতেই নাকা চেকিং চলে। এই সময়ে তা বাড়ানো হচ্ছে।’’ তবে শুক্রবার কুলটির বরাকর ও ডুবুরডিহি সীমানায় পুলিশের কোনও নাকা চেকিং চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার।

Kali Puja Police Boder Crckers Inspection
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy