রানিগঞ্জে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
পুরসভার তরফে মঙ্গলবার থেকে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছিল। ৭ ডিসেম্বর রানিগঞ্জ বরো কার্যালয়ে টোটোচালকদের নিয়ে বৈঠক করে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী। তিন দিন ধরে আসানসোল ও রানিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তা নিয়ে প্রচারও চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, তার পরেও এ দিন রাজ্য ও জাতীয় সড়কে দিনভর চলল টোটো।
এ দিন রানিগঞ্জ বাজার এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচল করা টোটো ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন বেশ কিছু টোটো আটক করে পুলিশ। এর পরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টোটোচালকেরা। পরে তাঁরা রানিগঞ্জ ২ নম্বর বরো কার্যালয়ে যান। সেখানে ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরার সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। টোটোচালক মহম্মদ সেলিম, মহম্মদ সোনুর দাবি, জাতীয় সড়কে টোটো চালানো বন্ধ করলে তাঁরা যাত্রী পাবেন না। বন্ধ হয়ে যাবে রুজিরুটি। তবস্সুম আরা জানান, মহকুমাশাসকের নির্দেশ মতো টোটো বন্ধে প্রচারও চালানো হয়েছিল। টোটো অভিযান নিয়ে তবস্সুম মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। টোটোচালকেরা জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে তাঁরা জেলাশাসকের কাছে আবেদন করবেন।
তবে এ দিন আসাসোলে টোটো আটকাতে পুরসভার তরফে তেমন ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বাস মালিকেরা। এর প্রতিবাদে তাঁরা এ দিন এক ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘট করেন। পুরসভার মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় জানান, তাঁরা টোটোর রুট ঠিক করে দিচ্ছেন। সেই রুট না মেনে টোটো চলাচল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসানসোল বাস ও মিনিবাস মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবারের মধ্যে বাস রুটে টোটো চলাচল বন্ধ না হলে বৃহস্পতিবার ফের এক ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘট করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy