Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Kali Puja

বাজি রুখতে কড়া নজর পুজোর আগে

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমানায়-বাজারে কড়া নজরদারি, সতর্কতা প্রচার এবং নিয়মিত অভিযান— এই তিন কারণেই বাজির উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে আপাতত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০১:০০
Share: Save:

সাধারণত, কালী পুজোর আগের রাত থেকেই বাজির পোড়া বারুদে ভারী হয়ে ওঠে শিল্পাঞ্চলের বাতাস। তবে, এ বার শুক্রবার থেকে শনিবার পুজোর দিন রাত ৯টা পর্যন্ত সে ভাবে কোথাও বাজি পোড়ানো বা ফাটানোর খবর আসেনি, দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, কয়েকটি পদক্ষেপ সফল ভাবে করার ফলেই এমনটা ঘটেছে। যদিও, শনি ও রবিবার রাতভর কী হয়, সে দিকে তাকিয়েজেলার বাসিন্দারা।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমানায়-বাজারে কড়া নজরদারি, সতর্কতা প্রচার এবং নিয়মিত অভিযান— এই তিন কারণেই বাজির উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে আপাতত। পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈন বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে বাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশের দল পুরোপুরি প্রস্তুত আছে।’’

পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শিল্পাঞ্চলের কুলটির চিনাকুড়ি-সহ কিছু এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজি বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। সালানপুর থানা জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় রূপনারায়ণপুর, দেন্দুয়া, কল্যাণেশ্বরী-সহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এ দিকে, জেলার বিভিন্ন থানাগুলি বাজি বন্ধে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা সভার আয়োজন করেছে। আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ থানা শনিবার নানা এলাকায় মাইকে বাজির বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার চালায়। পাশাপাশি, পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, কালী পুজোর দিন সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে কুলটি, বরাকর, রূপনারায়ণপুরে বাজি ঢোকে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকেই বরাকর, ডুবুরডিহি এবং রূপনারায়ণপুরের বিহার রোডে নাকা চেকিং করা হয়েছিল। নজরদারি চালানো হয়েছে দুর্গাপুর ও আসানসোলের বিভিন্ন বাজারেও।

তবে এ পর্যন্ত বাজির উৎপাত না দেখা যাওয়ার নেপথ্যে বাজি বিক্রেতারা আরও একটি কারণ জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে তার কিছু দিন আগে থেকে বাজি মজুত করা হয়। এ বার হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে বাজি মজুতই করা হয়নি সে ভাবে। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত বছরের পুরনো বাজি কিছু-কিছু সংগ্রহে ছিল। ক্রেতার চাহিদা মেনে সেগুলিই লুকিয়ে বিক্রি করেছেন তাঁরা। তবে তা সংখ্যায় নগণ্য বলেই দাবি। ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ পেলেই পুলিশের টহলদার গাড়ি পৌঁছে যাবে।’’

এ দিকে, দীপাবলি বা কালীপুজোয় আগুন থেকে কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটলে, দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি বলে জানান আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস। আসানসোলের চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রতিবার বাজির দাপটে কাহিল হন বহু মানুষ। এখনও যা পরিস্থিতি, তাতে সেই অবস্থা হবে না বলেই মনে করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crackers Police Kali Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE