সাধারণত, কালী পুজোর আগের রাত থেকেই বাজির পোড়া বারুদে ভারী হয়ে ওঠে শিল্পাঞ্চলের বাতাস। তবে, এ বার শুক্রবার থেকে শনিবার পুজোর দিন রাত ৯টা পর্যন্ত সে ভাবে কোথাও বাজি পোড়ানো বা ফাটানোর খবর আসেনি, দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, কয়েকটি পদক্ষেপ সফল ভাবে করার ফলেই এমনটা ঘটেছে। যদিও, শনি ও রবিবার রাতভর কী হয়, সে দিকে তাকিয়েজেলার বাসিন্দারা।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমানায়-বাজারে কড়া নজরদারি, সতর্কতা প্রচার এবং নিয়মিত অভিযান— এই তিন কারণেই বাজির উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে আপাতত। পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈন বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে বাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশের দল পুরোপুরি প্রস্তুত আছে।’’
পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শিল্পাঞ্চলের কুলটির চিনাকুড়ি-সহ কিছু এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজি বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। সালানপুর থানা জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় রূপনারায়ণপুর, দেন্দুয়া, কল্যাণেশ্বরী-সহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।