সেচের কাজে ব্যবহৃত পুকুর বেআইনি ভাবে মাটি ফেলে ভরাট করার অভিযোগ উঠল পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে। মেমারি থানার নিশঙ্খ ও তাজপুর মৌজার চাষিরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি দিয়ে ওই পুকুর ভরাট বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন। যদিও পুকুর মালিক সাকির মল্লিকের দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে মিথ্যে বলছেন অভিযোগকারীরা।
তাজপুরের চাষিদের দাবি, কয়েক বছর আগে মেমারি ১ ব্লকের আমাদপুর পঞ্চায়েতের আওতায় ওই মৌজায় পুকুরটি কেনেন সাকির। ওই পুকুরের জলে ভরসা করে আশপাশের বেশ কয়েক বিঘা জমিতে চাষবাসও চসে। চাষিদের অভিযোগ, জমির এলআর পরচা অনুযায়ী ( জে এল-১২৭, দাগ নম্বর-৯৫৪) ওই পুকুরের মাপ এক একর ২৯ শতক। যার মধ্যে অভিযুক্ত সাকির আলির অংশ মাত্র ১৪ শতক। অর্থাৎ পুকুরের বাকি অংশের জন্য অন্য মালিকরা রয়েছেন। শেখ মুজিবর রহমান, লাল মুর্মু, রাজীবকুমার কর-সহ ২৯ জনের সই-সম্বলিত চিঠিতে কৃষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, বাকি মালিকদের অন্ধকারে রেখে, সরকারের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কী ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রাক্টরে মাটি এনে পুকুরে ফেলে ভরাট করছেন অভিযুক্ত। ওই কৃষকদের আরও দাবি, শিয়ালগড় নামে ওই পুকুরটির একাংশ বোজানো হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশ ভরাট আটকাতে না পরলে কৃষি কাজে জলের টান দেখা দেবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও থেকে জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা।
অভিযুক্ত সাকির মল্লিক যদিও বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এক বছর আগে পুকুরটি কিনেছি। কিছু দিন আগে সাবমার্সিবল পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছি। সে জন্যই আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অশোক সাহা বলেন, “বিডিওকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”