আসানসোলের ডিআরএম প্রশান্তকুমার মিশ্র। নিজস্ব চিত্র
খালি হাতে খাবার পরিবেশন চলছে। তা-ও আবার আঢাকা খাবার। শনিবার দুর্গাপুর স্টেশনের স্টলে এমনই নানা ‘গাফিলতি’ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আসানসোলের ডিআরএম প্রশান্তকুমার মিশ্র।
এ দিন ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন পক্ষ’ উপলক্ষে স্টেশন পরিদর্শন করেন ডিআরএম এবং রেলের আরও কয়েক জন কর্তা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখেন ডিআরএম। সেখানেই একটি খাবারের স্টলে গিয়ে তিনি দেখেন, কর্মীরা খালি হাতে খাবার পরিবেশন করছেন। স্টলে থাকা কাপড়গুলিও পরিষ্কার নয়। খাবার ঢাকা দেওয়া নেই। রেল কর্তারা জানান, ওই স্টলের মালিককে বিষয়গুলি দ্রুত শুধরে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তাদের দাবি, তা না হলে লাইসেন্স বাতিল করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিআরএম।
এর পরে অন্য একটি স্টলে ঢুকেও গাফিলতি নজরে পড়ে ডিআরএম-র। সেখানে রেলের নিজস্ব জলের বোতলের পরিবর্তে অন্য সংস্থার জলের বোতল বিক্রি করা হচ্ছে দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রশান্তবাবু। সঙ্গে সঙ্গে ওই স্টলের মালিককে জরিমানা করা হয়। ডিআরএম জানান, এমন ঘটনা ফের ঘটলে আরও কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
প্ল্যাটফর্মে থাকা গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়েও স্টেশনের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন রেল কর্তারা। এ দিন চলমান সিঁড়িতে কাজ চলায় তা বন্ধ ছিল। রেল সূত্রে জানা যায়, সিঁড়ি বন্ধ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা সম্বলিত বোর্ড এক জায়গায় নেই দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ডিআরএম। তিনি স্টেশনের কর্তাদের জানান, কোনও যাত্রী না বুঝে বন্ধ থাকা সিঁড়িতে চেপে পড়লে সমস্যা বা বিপদ ঘটতে পারে।
এ ছাড়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ডও পরিদর্শন করেন রেল কর্তারা। স্টেশনের সৌন্দর্যায়ন ও বাইরে সুলভ শৌচাগার তৈরির বিষয়েও নানা পরিকল্পনার কথা জানান রেলের কর্তারা। পরিদর্শন শেষে ডিআরএম বলেন, ‘‘পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে দেশের মধ্যে দুর্গাপুর স্টেশন পঞ্চম স্থানে ছিল। তবে আরও উন্নতি দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy