Advertisement
E-Paper

পড়ার পাশে খেলাও, সাফল্য তিন জনের

৬৭৫ নম্বর পেয়ে জেলার সম্ভাব্য সেরা, রানিগঞ্জের বল্লভপুরের বাসিন্দা অভীপ্সিত। বাবা, বাঁকুড়ার ভুলুই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবনারায়ণ দাস। অভীপ্সিত জানায়, উচ্চমাধ্যমিকের পরে আইআইটি-তে মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০২:২৫

গোয়েন্দা গল্প পড়়তে ভালবাসে ওরা দু’জন। এক জনের আবার পছন্দ, চেতন ভগত। পড়াশোনার পাশাপাশি এ ভাবেই সাহিত্যের অলিগলিতে উঁকি দেওয়া ওই তিন জনের অভ্যাস। তিন জন, রানিগঞ্জ হাইস্কুলের অভীপ্সিত দাস, বেনাচিতি হাইস্কুলের সুনীতা মণ্ডল, চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলের (ইংরেজি মাধ্যম) অরিত্র পাল। এই তিন জনই এ বারের মাধ্যমিকে পশ্চিম বর্ধমানে সম্ভাব্য প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়।

৬৭৫ নম্বর পেয়ে জেলার সম্ভাব্য সেরা, রানিগঞ্জের বল্লভপুরের বাসিন্দা অভীপ্সিত। বাবা, বাঁকুড়ার ভুলুই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবনারায়ণ দাস। অভীপ্সিত জানায়, উচ্চমাধ্যমিকের পরে আইআইটি-তে মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। ছেলের সাফল্যে খুশি চৈতালীদেবী বলেন, “গড়ে সাত ঘণ্টা পড়়াশোনা করেছে ও। আশা করি, আরও একটু মনোযোগী হলে ভবিষ্যতেও ওর স্বপ্নপূরণ হবে।’’ তবে সবসময় পড়াশোনা নয়, ক্রিকেট খেলা, গল্প পড়া বা কবিতা লেখা, সবই রয়েছে অভীপ্সিতের রুটিনে। প্রিয় ক্রিকেটার, বিরাট কোহালি। প্রিয় লেখক, নীহাররঞ্জন গুপ্ত।

সম্ভাব্য দ্বিতীয় দুর্গাপুরের সুনীতা মণ্ডল জেলায় মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথমও বটে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর, ৬৭৪। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সুনীতা। দুর্গাপুরের আমড়াইয়ের মিলনপল্লির বাসিন্দা সুনীতার বাবা সমীরবাবু বাংলার শিক্ষক। মা পরিণীতাদেবী গৃহবধূ। সমীরবাবু বলেন, ‘‘মেয়েকে পড়া নিয়ে কোনও চাপ দিইনি আমরা। মেয়ে মনের আনন্দে পড়েছে।’’ সুনীতার সাফল্যের রসায়নেও পড়াশোনার পাশাপাশি রয়েছে গান গাওয়া, গল্প পড়ার মতো অভ্যাস। সুনীতা জানায়, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা তার পছন্দের চরিত্র। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক (টিচার ইনচার্জ) রথীন্দ্রনাথ গোস্বামীর অবশ্য আক্ষেপ, ‘‘সুনীতার ইতিহাসে নম্বরটা একটু কম হয়ে গেল। তবে সামগ্রিক ভাবে খুবই ভাল হয়েছে। ওর সার্বিক সাফল্য চাইছি।’’

মাধ্যমিকে জেলার সম্ভাব্য তৃতীয় অরিত্রের প্রাপ্ত নম্বর, ৬৭১। বা়ড়ি, রূপনারায়ণপুরের দেশবন্ধু পার্ক এলাকায়। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে। তার বাবা, জ্যোতি পাল বেসরকারি সংস্থার কর্মী। মা, মৌপিয়ালীদেবী ব্লকেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী। ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা-মা অবশ্য জানান, অরিত্রের পড়াশোনার জন্য ভবিষ্যতে অর্থ বাধা হয়ে দাঁড়ায় কি না, সে বিষয়ে আশঙ্কা রয়েছে।

অরিত্র জানায়, পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভালবাসে। যাতায়াত আছে ক্রিকেট মাঠেও। তবে আপাতত পড়াশোনা ছাড়া এখন একটাই লক্ষ্য, রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখা।

Madhyamik result 2018 WBBSE মাধ্যমিক
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy