ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুন এলাকায় বজ্রপাতের জেরে নেট-সংযোগ বিপর্যস্ত হয়ে যায়।
এক মাস ধরে গ্রাহকেরা ডাকঘরে আসছেন। অথচ দরজায় লটকানো বিজ্ঞপ্তি ‘নো লিঙ্ক’ দেখে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমনই হাল মঙ্গলকোটের কাশেমনগর উপডাকঘরের। গ্রাহকদের অভিযোগ, এর জেরে বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার কাজ বন্ধ। অভিযোগ, ডাকঘরের উর্ধ্বতন কর্তাদের চিঠি দিয়েও সমস্যা মেটেনি।
ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুন এলাকায় বজ্রপাতের জেরে নেট-সংযোগ বিপর্যস্ত হয়ে যায়। তার পরে থেকে তা ঠিক হয়নি। অথচ এই ডাকঘরে নানা এলাকার প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিষেবা না মেলায় তাঁরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। তেমনই এক জন গ্রাহক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নারায়ণচন্দ্র নাগের ক্ষোভ, “ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের টাকায় সংসার চলে। ফি দিন ডাকঘরে এসে ঘুরে যাচ্ছি। এ ভাবে কত দিন চলবে জানি না। সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে।’’ কাশেমনগরের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অশ্রুজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী নন ডাকঘর কর্তৃপক্ষ। এ ভাবে আমাদের চলবে কী ভাবে?” বাবার মৃত্যুর পরে তাঁর পারলৌকিক কাজকর্মের জন্য টাকা তুলতে এসে ফিরে গিয়েছেন কাশিয়ারা গ্রামের উত্তম শর্মা।
ডাকঘরের দাবি, নেট-লিঙ্কের বিষয়টা দেখে একটি সংস্থা। যদিও সেই সংস্থার দাবি, বিএসএনএল-র পরিষেবার জন্যই লিঙ্ক মিলছে না। যদিও বিএসএনএল এক্সচেঞ্জের গুসকরা সাব ডিভিশনের আধিকারিক সমীর প্রামণিকের পাল্টা দাবি, “বাজ পড়ে সমস্যা হলেও তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু কাশেমনগরই নয়, বর্ধমান ডিভিশনের বেশ কয়েকটি উপডাকঘরেও একই ধরনের সমস্যা হচ্ছে। যদিও সমস্যার বিষয়ে জানতে সুপারিন্টেডেন্ট অফ পোস্ট (বর্ধমান ডিভিশন) বেবি লাহিড়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy