১৯২৪ সালে যখন এসেছিলেন তিনি।
উত্তরবঙ্গের বন্যাপীড়িতদের সাহায্যে কাটোয়ায় চাঁদা তুলতে এসেছিলেন তিনি। উঠেছিলেন শহরের কাশীগঞ্জ পাড়ার নেতাজি সুভাষ আশ্রমে। মঙ্গলবার আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৫৬তম জন্মদিবস পালন অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল বোঝাল, ১৯২৪ সালের স্মৃতিটা ফিকে হয়ে যায়নি।
কাটোয়া বিজ্ঞান পরিষদের তরফে এ দিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীদের ভিড় ছিল নজরকাড়া। বিজ্ঞান পরিষদের সম্পাদক তথা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কালীচরণ দাস জানান, গাঁধীজির খদ্দর আন্দোলনের সমর্থক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের সঙ্গে আলাপ ছিল দাঁইহাটের জননেতা জিতেন্দ্রনাথ মিত্রের। সেই সূত্রেই কাটোয়ায় আসেন প্রফুল্লচন্দ্র। নেতাজি সুভাষ আশ্রমের যে ঘরে তিনি উঠেছিলেন, সেই ঘরটিতে এখন একদিকে কাঠগোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের কার্যালয় রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ১৯২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাটোয়া এসে তিনি দু’শো চল্লিশ টাকা চোদ্দো আনা সংগ্রহ করেছিলেন। পরদিন কাশীরামদাস বিদ্যায়তনে বক্তৃতা দেন ও গৌরাঙ্গ মন্দিরে মহিলাদের সভায় সংবর্ধিত হন। সেই সভা থেকে মহিলাদের চরকা কাটায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি।
কালীচরণবাবু জানান, প্রফুল্লচন্দ্রের বিজ্ঞানকে জনসেবায় কাজে লাগানোর মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালে মহকুমা গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় ২৩০ জন সদস্য নিয়ে কাটোয়া বিজ্ঞান পরিষদের পথ চলা শুরু হয়। দেশ-বিদেশে প্রদর্শনীতে যোগ দিতে শুরু করেন পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা। পরে ১৯৮১ সালে নবকুমার মুখোপাধ্যায়ের দান করা তিন কাঠা জমিতে বাড়ি তৈরি হয়। সেখানে শুরু হয় বিজ্ঞানচর্চা। এর পর থেকেই কাটোয়া বিজ্ঞান পরিষদের তরফে প্রতি বছরই প্রফুল্লচন্দ্রের জন্মদিবসে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিন প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের স্মরণে প্রভাতফেরি ও বিকালে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। পরে পরিষদ ও সুজন সন্ধান সমিতির উদ্যোগে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনায় যোগ দেন চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy