তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য দলের কাউন্সিলরদের লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছে সিপিএম। দলের দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘আমাদের কাউন্সিলর ও নেতাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া এবং আগামী পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কেউ-কেউ ইতিমধ্যে অভিযোগও দায়ের করেছেন। দলের তরফেও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।’’ তৃণমূল যদিও কোনও চাপ দেওয়ার কথা মানতে চায়নি। মহকুমাশাসকের দফতরের তরফে জানানো হয়, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর সীমা দাস অভিযোগ করেন, ৩০ মে রাতে ও পর দিন সকালে দশ-বারো জন তাঁর কাছে এসে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। পুরভোট তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার কথাও বলে। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়। ১ জুন সকালে ফের একই ভাবে বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়া হয়, দাবি সীমাদেবীর। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ডিপিএলের জিএন টাইপ এলাকায় বিধবা মাকে নিয়ে থাকি। ওই ঘটনার পরে দু’জনেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।’’ ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তি মজুমদার অভিযোগ করেন, ১ জুন বিকেল ৩টে নাগাদ প্রথমে ফোনে ও পরে একেবারে বাড়িতে হাজির হয়ে তিন জন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রথমে লোভ দেখায়, তার পরে চাপ দিতে থাকে। তিনি দলের প্রতি আনুগত্যের কথা বললেও তারা গুরুত্ব দেয়নি বলে দাবি শান্তিদেবীর। তিনিও বলেন, ‘‘সে দিনের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছি।’’
দুর্গাপুর পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেদের দখলে রয়েছে ১১টি। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, রাজ্যের অন্য নানা এলাকার মতো দুর্গাপুরেও বিরোধীদের ঘর ভাঙার চেষ্টা চলছে তলায়-তলায়। ইতিমধ্যে বিরোধী কিছু কাউন্সিলর সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছেন বলে দাবি শাসকদলের ওই অংশের। যদিও প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতারা বিষয়টি মানতে নারাজ। সিপিএম নেতা পঙ্কজবাবুর বক্তব্য, ‘‘ওঁরা তো এত উন্নয়নের ঢাক পেটান। তার পরেও বিরোধীদের হুমকি দিতে হচ্ছে! আসলে হারার ভয় চেপে বসেছে।’’ ৯ জুন দলের তরফে মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় অবশ্য পাল্টা বলেন, ‘‘সিপিএম রাজনৈতিক ভাবে দৈন্য হয়ে পড়েছে। তাই এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy