Advertisement
E-Paper

মনোনয়নে গোঁজ-কাঁটা শাসক দলে

মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পুরভোটে মোট ১৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তৃণমূল এবং বিজেপি ৪৩টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম ৩১, সিপিআই ৩ এবং ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ১০:৪০

সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ তুলে সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল কংগ্রেস। আবার প্রার্থী তালিকায় জায়গা না পেয়ে তৃণমূলের বরো চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, সাধারণ কর্মী মিলিয়ে মোট ১৪ জন বিক্ষুব্ধ নির্দল হিসাবে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। দুর্গাপুরে পুরভোট ঘোষণার পর পরেই এমন যুদ্ধংদেহি মেজাজে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন পক্ষকে। তবে, সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সমঝোতার ছবিই বেশি করে নজরে এল।

মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পুরভোটে মোট ১৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তৃণমূল এবং বিজেপি ৪৩টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম ৩১, সিপিআই ৩ এবং ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। হিসাবে ৩৬ হলেও বামফ্রন্টগত ভাবে মোট ৩৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। কারণ, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম ও শরিক আরএসপি, দু’দলই মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এই ওয়ার্ডটি নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেনি বামেরা। অন্য দিকে, কংগ্রেস ১০টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বামেদের ছাড়া ৮টি আসন।

আসন সমঝোতার আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই সিপিএম এক তরফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে দাবি করে কংগ্রেস ৪৩টি আসনেই আলাদা প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ৩২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাম ও কংগ্রেস, দু’তরফেরই মনোনয়ন জমা পড়েছে। সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘শহর ও শিল্প রক্ষার্থে আমরা গণতন্ত্রপ্রেমী ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষকে এক জোট করতে চাই। রাজ্য সম্পাদক বলে গিয়েছেন, যে আসনে আমাদের প্রার্থী নেই, সেখানে তেমন কেউ থাকলে আমরা সমর্থন করব।’’ অন্য দিকে, কংগ্রেসের জেলা শিল্পাঞ্চল সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই দুই আসনে আমরা প্রার্থী সরিয়ে নেব বলে ঠিক হয়েছে। মানুষের কথা ভেবেই আমাদের সমঝোতার রাস্তা নিতে হল।’’

পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এসইউসি-র একমাত্র প্রার্থী সুচেতা কুণ্ডু মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নির্দল হিসাবে ১৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এসইউসি-র মনোনয়ন উপযুক্ত নথির অভাবে নির্দল হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। বাকি ১৫ জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে ৩২ এবং ৩৬ থেকে ৪২— মোট ৮টি ওয়ার্ডে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দীর অনুগামীরা। বিক্ষুব্ধদের কয়েক জনকে বুঝিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে বিরত করতে পারলেও গোঁজ কাঁটা পুরোপুরি তুলতে পারেনি শাসকদল। কিছু ওয়ার্ডে বিক্ষুব্ধ প্রার্থী দলের টিকিটে হওয়া প্রার্থীকে ভোগাবেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূলের একাংশে। যদিও প্রত্যয়ী দলীয় নেতৃত্ব বলছেন, মনোনয়ন তোলার সময়সীমা পেরনোর পরে পরিস্থিতি বদলে যাবে।

Election cpm bjp TMC congress পুরভোট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy