E-Paper

শ্রমিক-ক্ষোভ, দু’দিন উৎপাদন নেই কারখানায়

ঠিকাকর্মীদের অভিযোগ, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করার আবেদন জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এর পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪১
আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

ঠিকাদারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত অক্টোবর থেকে কাজ নেই। এই অভিযোগে এবং কাজে পুনর্নিয়োগের দাবিতে ঠিকাকর্মীদের বড় অংশই বুধবার থেকে টানা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কুলটি ওয়াগন কারখানার (‌সেল-রাইটস বেঙ্গল ওয়াগন ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেড) ঘটনা। এর জেরে কারখানার উৎপাদন ও পরিবহণ দু’দিন ধরে বন্ধ। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা জানান, শনিবার পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এই পরিস্থিতিতে ইচ্ছুক কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারছেন না বলে দাবি। ইতিমধ্যেই কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

ঠিকাকর্মীদের অভিযোগ, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করার আবেদন জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এর পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ঢুকতে বাধা পেয়ে আধিকারিকদের কারখানার গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কারখানা সূত্রে দাবি, ঢুকতে-বেরোতে পারছে না পণ্য ও জ্বালানি বোঝাই ট্রাক। বিক্ষোভকারীদের তরফে সন্তোষ মাহাতো সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে বলেন, “ঠিকাদার নিয়োগ করা হচ্ছে না। আমাদের কাজ নেই। ন্যূন্যতম বেতনের চেয়েও কম মজুরিতে কাজ করানো হচ্ছে। পিএফ, ইএসআই দেওয়া হচ্ছে না। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।”

বিক্ষোভ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সেল ও রেলের যৌথ উদ্যোগে গঠিত এই কারখানার তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা রাইটস-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, “বিক্ষোভকারীরা কেউ এখন কারখানার কর্মী নন। কারণ, ওঁরা যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন, তাঁর মেয়াদ অক্টোবরে শেষ হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হলে এই শ্রমিকেদের নিয়োগ করা হবে।” তাঁর সংযোজন: “নতুন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দু’টি সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেনর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ হবে।” কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিষয়টি ঠিকাকর্মীদের আগে জানানো হলেও, তাঁরা তা বুঝতে চাইছেন না। পাশাপাশি, নানা সুবিধা না পাওয়ার যে অভিযোগ ঠিকাকর্মীরা করছেন, সে প্রসঙ্গে, সুশান্তের বক্তব্য, “প্রত্যেক ঠিকাদারের বিল ছাড়ার আগে দেখে নেওয়া হয় তাঁরা শ্রমিকদের পিএফ ও ইএসআই-এর টাকা ঠিক মতো জমা দিয়েছেন কি না। এ সব ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হয় না।”

এ দিকে, কারখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বুধবার থেকে উৎপাদন বন্ধ। ১০টি ওয়াগন উৎপাদন হয়নি। সংস্থার ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্ষতি আরও বাড়বে। রেলকে সময়ে ওয়াগন দিতে না পারলে জরিমানা ভরতে হলে ক্ষতি দ্বিগুণ হতে পারে। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমিক বিক্ষোভ মেটাতে তাঁরা প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হবেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kulti

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy