Advertisement
E-Paper

হঠাৎ চিঠি, কর্মসমিতির বৈঠকে আসতে নিষেধ

একটি বেসরকারি আইন কলেজের অধ্যক্ষা হিসাবে কিছুদিন আগে অবধিও তিনি ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি বা এগজিকিউটিভ কাউন্সিলরের সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই তাঁকে ই-মেল করে সোমবার কর্মসমিতির বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৯

একটি বেসরকারি আইন কলেজের অধ্যক্ষা হিসাবে কিছুদিন আগে অবধিও তিনি ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি বা এগজিকিউটিভ কাউন্সিলরের সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই তাঁকে ই-মেল করে সোমবার কর্মসমিতির বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। সম্প্রতি ওই আইন কলেজ অনুমোদন নিয়েই বিতর্ক দেখা দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাই সাহার নির্দেশে ওই অধ্যক্ষাকে কর্মসমিতির সভায় হাজির থাকার ব্যাপারে নিষেধ করে চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। এ দিনের বৈঠকে তিনি ছিলেনও না।

কর্মসমিতিতে বেসরকারি আইন কলেজের একজন অধ্যক্ষ থাকা বাধ্যতামূলক। দুর্গাপুরের আইন কলেজগুলি বর্ধমানের বদলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গিয়েছে। আবার বোলপুরের বেসরকারি আইন কলেজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর জুনে বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা নতুন বাজারে এক বেসরকারি সংস্থাকে আইন কলেজ খোলার অনুমতি দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই কলেজকে শর্ত সাপেক্ষে বার কাউন্সিল ও সরকারের অনুমোদন নিয়ে আসতে বলা হয়। ওই দু’টি জায়গা থেকে অনুমোদন আনতে না পারায় কলেজের অনুমোদনও স্থগিত করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “ওই সময়ের মধ্যেই দুর্গাপুরের একটি কলেজের অধ্যক্ষাকে নিয়ে আসে বর্ধমানের বেসরকারি কলেজটি। তার মধ্যেই তাঁকে কর্মসমিতির সদস্যও করে নেওয়া হয়!” ওই কলেজের ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনও আইন কলেজ নেই। ওই বেসরকারি কলেজের নামের পাশে ‘বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত’ লেখা রয়েছে। কিন্তু, সেখানে আইনের বদলে বিবিএ, বিসিএ-র মতো কোর্স করানো হয়। মাস সাতেক আগে বাবুরবাগের একটি বাড়িতে ওই বেসরকারি কলেজ খোলা হয়েছিল। কিন্তু চার মাস ভাড়া না দেওয়ায় বাড়ির মালিক ওই কলেজ তুলে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিতর্ক শুরু হতেই বর্তমান উপাচার্য ওই কলেজ সম্পর্কে তথ্য চান। রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা তথ্য পেশ করার পরেই উপাচার্যের নির্দেশে গত ২৭ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে ওই আইন কলেজের অধ্যক্ষাকে কর্মসমিতির বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হয়।

এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ওই অধ্যক্ষার আবার দাবি, তিনি কখনওই ওই আইন কলেজে যোগ দেননি। কর্মসমিতির বৈঠকেও কোনও দিন আসেননি।

working Committee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy