E-Paper

পুজোর কেনাকাটায় ভিড় শেষ রবিবারের বাজারে

দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত দু’-তিন দিনে বাজারে লোকজন বেড়েছে। তাতে অনেকটাই ঘাটতি পূরণ হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৬
দুর্গাপুরে রবিবার। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরে রবিবার। নিজস্ব চিত্র

পুজোর আগে শেষ রবিবার ভাল ভিড় হল জেলার নানা বাজারে। কয়েক দিন আগে পর্যন্তও ব্যবসায়ীদের অনেকের আক্ষেপ ছিল, পুজোর বাজার সে ভাবে জমেনি। তবে এ দিন তাঁদের মুখে হাসি। তবে অনেকের দাবি, অনলাইন কেনাকাটায় ঝোঁক বেড়েছে, তাই আগের তুলনায় এখন বিক্রিবাটা কম হয় পুজোর বাজারে।

দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত দু’-তিন দিনে বাজারে লোকজন বেড়েছে। তাতে অনেকটাই ঘাটতি পূরণ হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের নানা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, জামাকাপড়ের দোকানে ভাল ভিড়। বেনাচিতি, মামড়া, স্টেশন বাজার— সর্বত্র একই ছবি দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন শপিংমলেও অনেকে কেনাকাটা সেরেছেন। কলেজ ছাত্রী সমর্পিতা রায়, বর্ষা চক্রবর্তীরা বলেন, ‘‘পুজো মানে শুধু জামাকাপড় নয়, কিছু আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও জরুরি। সে সব কিনতে এসেছি।’’

দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের একটি দোকানের প্রবীণ কর্মী সুকুমার দাস বলেন, ‘‘রবিবার দুপুরের পর থেকেই ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। সন্ধ্যায় ভিড় আরও বাড়ে।’’ বেনাচিতি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ডিএসপি-ক কর্মীদের বোনাস পাওয়া হয়ে গেলে এ দিন ভিড় হয়তো আরও বেশি হত। আসানসোলেও জামাকাপড়, জুতো থেকে সাজসজ্জার সরঞ্জামের দোকানে ভাল ভিড় ছিল এ দিন। কাপড় ব্যাবসায়ী সোমনাথ ঘাঁটি জানান, এ দিন
ভাল সংখ্যায় ক্রেতারা এসেছিলেন। নতুন ধরনের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। শাড়ি, কুর্তি, পাঞ্জাবি, টি-শার্টের চাহিদা বেড়েছে।

তবে অনলাইনে কেনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায়, বাজারে এসে কেনাকাটা কমছে বলে দাবি করেন অনেক ব্যবসায়ী। একটি জুতোর দোকানের মালিক গুরবিন্দর সিংহ জানান, এ দিন ক্রেতা বাড়লেও, গত বছরের তুলনায় এ বার পুজোর বাজারের কেনাকাটা খানিক কমেছে। তাঁর দাবি, ‘‘মানুষ এখন অনলাইন শপিং করছেন। যার ফলে বাজারে কেনাকাটা কমছে।’’ এক কাপড়ের ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘অনলাইনে ছাড়ের লোভে অনেকে বাজারে কেনাকাটা কমিয়েছেন। ফলে, আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা তো উৎসবের দিকেই তাকিয়ে থাকি।’’ এক ক্রেতা সুইটি মাজি বলেন, ‘‘ছুটির দিনে
পুজোর বাজারে ভিড় ভালই ছিল। তার মধ্যেই কিছু কেনাকাটা করেছি। তবে অনলাইনেও কিছু পোশাক ও সাজের সামগ্রী কিনেছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Durgapur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy