Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Andal

মূল রাস্তায় টোটো কেন, প্রশ্ন তুলে বচসা-অবরোধ দক্ষিণখণ্ডে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ দুর্গাপুর থেকে উখড়াগামী একটি মিনিবাস অন্ডাল মোড়ে দাঁড়িয়েছিল।

অন্ডাল-উখড়া রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

অন্ডাল-উখড়া রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
অন্ডাল শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:১৪
Share: Save:

বাস স্টপের প্রধান রাস্তায় টোটোয় চাপাকে কেন্দ্র করে এক যাত্রীর সঙ্গে একটি মিনিবাস মালিকের বিবাদ বাধল। যার জেরে প্রায় দু’ঘণ্টার বেশি রাস্তা অবরুদ্ধ থাকল। বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে এসে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বৃহস্পতিবার অন্ডাল-উখড়া রাস্তার দক্ষিণখণ্ডের ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ দুর্গাপুর থেকে উখড়াগামী একটি মিনিবাস অন্ডাল মোড়ে দাঁড়িয়েছিল। আমন বাউড়ি নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি দক্ষিণখণ্ডে যাওয়ার জন্য একটি টোটায় চাপেন। আমন জানান, টোটোচালক তাঁকে নিয়ে যেতে চাইছিলেন না। চালক তাঁকে জানান, এখান থেকে প্রধান রাস্তায় টোটো চালানো নিষেধ। আমনের দাবি, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। অনুরোধ করায় টোটোচালক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজি হন। আমনের অভিযোগ, এই সময়ে ওই বাসের মালিক টোটো থেকে চাবিটি খুলে নেন।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ট্রাফিক ওসি (অন্ডাল) মহম্মদ আলি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন। নিত্যযাত্রীদের দাবি, পরে বাড়ি ফিরে আমন অন্ডাল-উখড়া রাস্তার দক্ষিণখণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দাদের জড়ো করে বাসটি আটকে দেন। বিকেল চারটে নাগাদ সেখানে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে অবরোধকারীদেরসরিয়ে দেয়।

চাবি কেড়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বাসের মালিক উৎপল নন্দী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে দুর্গাপুর মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রধান রাস্তায় টোটো চালানো যাবে না। সংযোগকারী রাস্তায় চালাতে হবে। এ নিয়ে একাধিক বার প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। অভিযোগ, তার পরেও, অনেক টোটো প্রধান রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছে। তবে টোটোর চাবি কেড়ে নেওয়াটা ঠিক হয়নি।

এ দিকে, সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার কী ভাবে রাস্তা অবরোধের নেতৃত্ব দিলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। বিক্ষোভ-অবরোধে ‘নেতৃত্ব’ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমন। তাঁর দাবি, যা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE