E-Paper

ফাটল ধরা শ্রেণিকক্ষে চুঁইয়ে পড়ে বৃষ্টির জল

কাঁকসার আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের রাজবাঁধ চটি এলাকায় রয়েছে রাজবাঁধ চটি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ০৬:৪২
কাঁকসায় বেহাল শ্রেণিকক্ষ।

কাঁকসায় বেহাল শ্রেণিকক্ষ। নিজস্ব চিত্র।

ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে শ্রেণিকক্ষের ভিতরে। সেখানে আবার বিষধর সাপের আনাগোনা লেগে আছে। শ্রেণিকক্ষের ফাটল এমন অবস্থায় পৌঁছেছে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। এমন বিপদ মাথায় নিয়েই ক্লাস করছে কাঁকসার রাজবাঁধ চটি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা। প্রধান শিক্ষকেরদাবি, সমস্যার বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতর সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানো হয়েছে।

কাঁকসার আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের রাজবাঁধ চটি এলাকায় রয়েছে রাজবাঁধ চটি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে রয়েছে ৪৩ জন ছাত্রছাত্রী। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন তিন জন। মিডডে মিলের ভালভবন রয়েছে বিদ্যালয়ে। শৌচাগার রয়েছে কাজ চলার মতো। কিন্তু, আসল সমস্যা শ্রেণিকক্ষের। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান ভবন বেহাল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে দু’টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে যেগুলির হাল তথাকথিত ভাল। সেই দু’টি শ্রেণিকক্ষে ছ’টি ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আবার অফিসের কাজও ওই দু’টি শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ। কাজেই পঠন-পাঠনে সমস্যা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধান ভবনের চারদিকে ফাটল ধরেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে জল ঢুকে পড়ছে শ্রেণিকক্ষে।সঙ্গে আছে সাপের উপদ্রব। ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে সেই ভবনটি ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

শিক্ষিকা প্রতিমা পাল জানান, শ্রেণিকক্ষের এমন অবস্থা যে দেওয়ালের সঙ্গে থাকা বোর্ড ব্যবহার করা যায় না। ভয় হয়, বোর্ডে চক দিয়ে কিছু লিখতে গেলে হয়তো দেওয়ালই ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, “চরম আতঙ্কের মধ্যে আমরা শিশুদেরনিয়ে থাকি। যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে।” শ্রেণিকক্ষের হাল দেখে অনেক অভিভাবক ভয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চান না বলেও দাবি। প্রধান শিক্ষক প্রণব সাহা জানান, প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এই ভবনে থাকতে হয়। যে ভাবে ফাটল রয়েছে, তাতে যে কোনও দিন ভবন ভেঙে পড়তে পারে। তাঁর কথায়, “সমস্যার বিষয়ে শিক্ষা দফতর থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি। নতুন ভবন হলে সমস্যাদূর হবে।”

স্কুল শিক্ষা দফতরের কাঁকসা ১ চক্রের সার্কেল ইনস্পেক্টর সুদীপ সরকার বলেন, “আমরা ওই স্কুলের সমস্যা জানি। আমাদের বাস্তুকার স্কুলটি দেখে এসেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanksa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy