রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে গুলিতে খুন হয়ে গেলেন এক ব্যবসায়ী। শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ২ নম্বর জাতীয় সড়কে জামুড়িয়ার লালবাংলা মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। গুলি করে দু’জন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত বৃজনন্দন শাহ (৩২) রানিগঞ্জের স্কুলমোড়ের কাছে থাকতেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে পুলিশ জেনেছে, মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন বৃজনন্দনবাবু। লালবাংলা মোড়ের কাছে অন্য একটি মোটরবাইকে চেপে আসা দু’জন তাঁকে দাঁড় করায়। তার পরে তাঁদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এরই মধ্যে এক জন তাঁকে বুকে গুলি করলে তিনি লুটিয়ে পড়েন। দুই আততায়ী পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাতে জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ি ও রানিগঞ্জ থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেটি কার অধীনে পড়ছে, সে নিয়ে দুই এলাকার পুলিশের মধ্যে মতান্তর দেখা দেয়। মৃতদেহ সেই সময়ে রাস্তাতেই পড়ে ছিল। সার্কেল ইনস্পেক্টর চন্দ্রশেখর দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সমস্যা মেটে। শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃজনন্দনবাবুর আদি বাড়ি বিহারের সিওয়ানে। সেখান থেকে রানিগঞ্জে এসে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাঁর দু’টি ডাম্পার রয়েছে। এ ছাড়া তিনি আসানসোলে একটি মোটরবাইকের শো-রুমে কাজ করতেন। এলাকায় নির্বিবাদী মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। এমন এক জনকে কারা কী কারণে খুন করল, সে নিয়ে ধন্দে এলাকার মানুষজন। রবিবার সকালে তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা ভিড় জমিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পিঙ্কিদেবী বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। তাঁদের একটি আট মাসের ছেলে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কী কারণে এই খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।