জনস্বাস্থ্য কারিগরির প্রকল্প থাকলেও, পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ঝাউডাঙা পঞ্চায়েতে বেশিরভাগ জায়গায় পর্যাপ্ত জল মেলে না বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি, সমস্যাটি পঞ্চায়েতকে জানানো হলেও, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভাগীরথী পেরিয়ে পৌঁছতে হয় এই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার জলকষ্ট মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রকল্প গড়া হয়। সেখান থেকে ঝাউডাঙা, গঙ্গাপুর, কাশীপুর-সহ বিভিন্ন গ্রামে পর্যাপ্ত জল পৌঁছনোর কথা ছিল। বাসিন্দাদের দাবি, তৈরির পরে প্রকল্পটি থেকে তেমন জল মেলেনি। বেশিরভাগ এলাকায় ট্যাপ থেকে সুতোর মতো জল পড়ে। কোনও কোনও জায়গায় জলই পৌঁছয় না। ফলে, বছরখানেক ধরে জলকষ্ট রয়েছে এলাকায়। অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়ির নলকূপ থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করেন।
অরবিন্দ বাগ নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘জলের সংযোগ পেতে হাজার তিনেক টাকা খরচ করতে হয়েছিল। অথচ, ট্যাপ থেকে জল পড়ে না। পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’ এলাকার বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ ঘোষ জানান, কাঁসিপুর এলাকাতেই প্রায় ২৫০ ঘরে সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। অথচ, যা জল মেলে তাতে সুরাহা হয় না। গরিব পরিবারগুলি টাকা খরচ করে সংযোগ নিলেও সমস্যা দূর হয়নি।
ঝাউডাঙা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শুক্লা হালদার জানান, যাঁদের বাড়তি পাইপ কিনতে হয়েছে, তাঁদের শুধু টাকা খরচ করতে হয়েছে। প্রকল্পের পাইপলাইন সরু হওয়ায় পর্যাপ্ত জল পেতে সমস্যা হচ্ছে। পাইপের আকার বড় করে পর্যাপ্ত জল পৌঁছনোর চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট দফতর, আশ্বাস তাঁর।