কিছু দিন আগে এখানেই পাড় ধসেছিল ভাগীরথীর। নিজস্ব চিত্র।
মাস দুয়েক আগে লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছিল কালনা শহরে ভাগীরথীর পাড়ে। কিছু অংশে নেমেছিল ধস। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল দ্রুত তা মেরামত করার। যদিও সেই পাড় মেরামতি শুরু হয়নি এখনও। এর মধ্যে রবিবার থেকে দুর্যোগ শুরু হওয়ায় বেড়েছে আতঙ্ক।
কালনা শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকায় কিলোমিটার দেড়েক এলাকা জুড়ে ফাটল রয়েছে। প্রায় তিনশো ফুট এলাকায় মাটি ধসে মিশে গিয়েছে নদীতে। এলাকায় নদীঘাট রয়েছে। পাড় লাগোয়া বসতিও রয়েছে। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখনও মেরামতির কাজ শুরু হয়নি। রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ঝড়বৃষ্টিতে ফাটল আরও বাড়বে কি না, আশঙ্কায় এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত পাল জানান, মাস দুয়েক ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজ হয়নি। দুর্যোগে ক্ষতি বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে। বাড়ি ছাড়তে হবে কি না সেই আতঙ্কও রয়েছে। আর বাসিন্দা কুটি পাল বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে প্রশাসন সতর্কতা প্রচার চালাচ্ছে। আমাদের চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ধসে বাড়ির কিছুটা অংশ নদীতে চলে গিয়েছে। আরও ক্ষতি হলে বাস গোটাতে হবে। দুর্যোগ যতক্ষণ না কাটছে আমাদের জেগে কাটাতে হবে।’’ পালপাড়ার বাসিন্দা ধীরেন পালেরও ক্ষোভ, ‘‘কেন যে এতদিন প্রশাসনিক কর্তারা কিছু করলেন না, বুঝতে পারলাম না।’’
ওই ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি অনিল বসুর দাবি, ‘‘ভাগীরথীর পাড় মেরামতি বড় কাজ। পুরসভা, মহকুমাশাসক-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছে।’’
উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল বলেন, ‘‘দুর্যোগ মোকাবিলা জন্য পুরসভা একটি দল তৈরি করেছে। পালপাড়ার বিষয়টি জানা রয়েছে। লোকসভা ভোট চলায় আদর্শ আচরণবিধি রয়েছে। তাই এখনই কিছু বলা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy