রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
কেরলে ওয়েনাড় লোকসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নাম ঘোষণার পরেই আবার বিজেপির মুখে এল ‘নেহরু-গান্ধীদের পরিবারতন্ত্র’। সোমবার বিজেপি মুখপাত্র শাহজাদ পুণেওয়ালা বলেন, ‘‘আজ আবার প্রমাণ হয়ে গেল, কংগ্রেস একটি দল নয়, একটি পারিবারিক ব্যবসা। মা রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। পুত্র একটি আসন থেকে লোকসভা ভোটে জিতেছেন। এ বার প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে অন্য একটি লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করা হল।’’
সোমবার বিকেলে কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের বাড়িতে আয়োজিত বৈঠকে সনিয়া গান্ধী, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালের উপস্থিতিতে বৈঠকে স্থির হয়, কেরলের ওয়েনাড় ছেড়ে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ পদ ধরে রাখবেন রাহুল। তিনি নিজেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমার কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। কারণ ওয়েনাড়ের মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়ের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আমি ওয়েনাড় ছাড়ছি। প্রিয়ঙ্কা লড়বেন ওয়েনাড় থেকে।’’
প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়, দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন রাহুল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে হেরে গেলেও কেরলের ওয়েনাড় জিতিয়েছিল রাহুলকে। অন্য দিকে, ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সনিয়া টানা ছ’বার রায়বরেলী থেকে ভোটে জিতেছিলেন। তারও আগে রায়বরেলী থেকে কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের প্রবল সমালোচক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নয়া মন্ত্রিসভায় কেন পরিচিত নেতা-নেত্রীদের পুত্র, কন্যা, জামাতা, পুত্রবধূদের আধিক্য, তা নিয়ে গত সপ্তাহে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। মোদীর মন্ত্রিসভার ৭২ জন সদস্যের মধ্যে ২০ জন মন্ত্রীর ‘পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাসের’ একটি তালিকা দিয়ে মোদীর মন্ত্রিসভাকে ‘পরিবারমণ্ডল’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে রাহুল লিখেছিলেন, ‘‘যাঁরা প্রজন্মের সংগ্রাম, সেবা ও ত্যাগের ঐতিহ্যকে ‘পরিবারতন্ত্র’ বলে চিহ্নিত করেন তাঁরাই তাঁদের ‘সরকারি পরিবারমণ্ডলীতে’ ক্ষমতার ভাগাভাগি করছেন। নরেন্দ্র মোদীর কথা ও কাজের এটাই পার্থক্য!’’ সোমবার তারই ‘পাল্টা’ দিল বিজেপি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy