উড়ালপুল তৈরির কাজ চলায় মূল রাস্তার দু’পাশে গড়ে দেওয়া হয়েছে এক লেনের পথ। কিন্তু দুর্গাপুরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন মোড়ে বর্ষায় সেই রাস্তাগুলি খানাখন্দে ভরে হওয়ায় যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে যাত্রীদের। দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি শহরের মানুষজনকেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করে ছয় লেন করার কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। স্বচ্ছন্দে যাতায়াত এবং দুর্ঘটনা রুখতে শহরের ভিতরে জাতীয় সড়কের উপরে কোনও মোড় না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে জন্য সব মোড়ে উড়ালপুল তৈরি করা হচ্ছে। জাতীয় সড়কের অন্য অংশের সম্প্রসারণের কাজ অনেকখানি এগিয়ে গেলেও উড়ালপুল নির্মাণের কাজ তেমন এগোয়নি। গোপালমাঠে উড়ালপুল দু’দিকে যাতায়াতের জন্য খুলে দিলেও ভিড়িঙ্গি মোড়ে শুধু এক দিক দিয়েই যানবাহন চলছে। গাঁধী মোড়ের উড়ালপুল এখনও চালুই হয়নি। ডিভিসি মোড়, মুচিপাড়া, এবিএল মোড়— কোথাও উড়ালপুল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে যাতায়াতের জন্য পাশের অস্থায়ী এক লেনের রাস্তাই ভরসা। সেখান দিয়েই দৈনিক হাজার-হাজার যানবাহন যাতায়াত করছে। লরি, ট্রাক, বাস, গাড়ি, মোটরবাইক, অটো, টোটো, সাইকেল, পথচারী— সবার ভরসা ওই রাস্তা। এমনিতেই ওই অংশে যানবাহনের গতি কমাতে হচ্ছে। তার উপরে বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙেচুরে যাওয়ায় বাড়ছে যানজট। গর্তের জন্য বিপজ্জনক ভাবে চলতে হচ্ছে যানবাহনকে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে সব সময়েই, দাবি কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের অনেকেরই।
গাঁধী মোড়ে মহাত্মা গাঁধী রোড যেখানে জাতীয় সড়কে মিশেছে সেখানে জল জমে প্রায় ডোবার মতো দশা। তার উপর দিয়েই গাড়ি চলছে। গাঁধী মোড় দিয়ে রোজ মোটরবাইক নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াত করেন ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের বাসিন্দা শ্যামল রায়। তিনি বলেন, ‘‘একে রাস্তা সরু। তার উপরে এ ভাবে ভেঙে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় আমাদের।’’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পড়ুয়া অভিষেক দাসের কথায়, ‘‘বাড়ি থেকে এসে গাঁধী মোড়ে বাস থেকে নামি। দিনের পর দিন দেখছি, রাস্তা সারানো হচ্ছে না।’’
পশ্চিম বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার জন্য রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত সারাই করা হবে।