কাটা হয়েছে শাটার। —নিজস্ব চিত্র।
গয়নার দোকানের শাটার কেটে লুঠপাট চালল দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হল পাশের একটি দোকানের দু’জন কর্মীকেও। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর আশিস মার্কেট এলাকার ঘটনা। গয়নার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কও নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানটির সামনের চাতালে পাশের একটি মিষ্টি দোকানের দুই কর্মী রাজা ও সময় ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা ভোজালি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জনের একটি দুষ্কৃতী দল তাঁদের উপর চড়াও হয়। মুখ চাপা দিয়ে পাশের রানা প্রতাপ রোড লাগোয়া ১২ নম্বর স্ট্রিটের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। পরে হাত-পা ও চোখ বেঁধে তাঁদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে দাবি ওই দু’জনের। পরে তাঁদের বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে দুষ্কৃতীরা একটি ত্রিপল ও মশারোধক তেল দেয় বলে জানান প্রহৃতরা। ভোরের আগে কোনও সাড়াশব্দ করলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি দু’জনের।
এর পরেই ডাকাত দল ফিরে আসে গয়নার দোকানে। গ্যাস কাটার দিয়ে শাটার কেটে ভিতরে ঢুকে প্রথমেই সিসি ক্যামেরাটি বিকল করে দেয় তারা। পরে লুঠপাটের শেষে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কটিও নিয়ে যায় তারা।
দোকানের মালিক সাগর গুপ্তের দাবি, গয়নার পাশাপাশি নগদ টাকাও লুঠ করা হয়েছে। বাজারে রাতে কোনও নিরাপত্তারক্ষী থাকেন না। সব দোকান তালাবন্ধ থাকে। রাতের দিকে ওই রাস্তা দিয়ে তেমন গাড়িও চলাচল করে না। ভোরের দিকে রাস্তা দিয়ে লোকজনের চলাফেরার আওয়াজ পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন রাজা ও সমর। পরে বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। দুষ্কৃতীরা আগে থেকে সব খোঁজখবর নিয়েই এসেছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতদের হাতে আক্রান্ত রাজা ও সমরের কাছ থেকে দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতেই কোকওভেন থানার শ্যামপুরের শরৎপল্লিতে একটি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। মন্দিরের তালা ভেঙে বেশ কিছু সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, মন্দিরের তালা ভাঙা। ঠাকুরের গয়না উধাও। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’টি চুরিতেই একই দুষ্কৃতী দল জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy