মাদ্রাসা বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে বৃহস্পতিবার। ৭৫১ পেয়ে জেলার সেরা মেমারির সাদিয়া বানু। তবে রয়ে গিয়েছে আক্ষেপ। সাদিয়ার কথায়, ‘‘আর এক নম্বর পেলে রাজ্যে দশের মধ্যে থাকতে পারতাম।’’ এটাই ভবিষ্যতে আরও পরিশ্রম করার ইন্ধন জোগাবে, দাবি তার।
ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাওয়া সাদিয়া উচ্চমাধ্যমিক পড়তে চায় মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট (ইউনিট-১)। এই স্কুল থেকেই এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে অরিত্র পাল। সাদিয়া বলে, ‘‘আমার সাফল্যের পিছনে মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে ডাক্তার হতে চাই।”
মেমারি হাইমাদ্রাসা থেকে এ বার পরীক্ষা দিয়েছিল সাদিয়া। ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক তোরাব আলি বলেন, “খুব মেধাবী ছাত্রী সাদিয়া। আমরা আশা করেছিলাম, ভাল কিছু করবে। ওর আরও উন্নতি কামনা করি।” সাদিয়ার বাবা মহম্মদ সাবিবউদ্দিন ব্যবসায়ী। মা সাহেদা বানু গৃহবধূ। অবসরে ছবি আঁকা ও গল্পের বই পড়তে ভালবাসে ওই কিশোরী।
জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে গলসির কুলগড়িয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্র শেখ নাসিমুদ্দিন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭২৭। আর যুগ্ম ভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাটোয়া পাঁচপাড়ার হাই মাদ্রাসার ছাত্র মিহারুল হক শেখ ও কাশিয়ারা হাই মাদ্রাসার মহম্মদ ওমর ফারুক মণ্ডল।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে