কাটোয়ার কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনে আলু চাষ । নিজস্ব চিত্র
আগে স্কুলের জমিতে আনাজ ফলিয়েছিলেন। পরে সেই আনাজ মিড-ডে মিলের কাজে লেগেছিল। এ বছর পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলের জমিতে আলু চাষ করলেন কাটোয়া কাশিরাম দাস বিদ্যায়তনের ভূগোলের শিক্ষক টোটন মল্লিক।
ওই শিক্ষক বলেন, “প্রত্যেক বছরই ছাত্রদের নিয়ে ফুল-আনাজ চাষ করি। ছাত্রদের মানসিক বিকাশ ঘটে। এ বছর দশ কাঠা জমিতে মাস তিনেক আগে আলু বসিয়েছিলাম। দিন তিনেক আগে ফসল তুললাম। প্রায় ১৮ মন আলু পেয়েছি। স্কুলের মিড-ডে মিলে কাজে লাগবে।”
প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ওই স্কুলের কোনও না কোনও পড়ুয়া মেধা তালিকায় প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে জায়গা পায়। পড়ুয়াদের নানা বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষা দেওয়া হয় স্কুলে। টোটোন প্রত্যেক বছর শীতে নানা ধরনের ফুল ও আনাজ চাষ করেন পড়ুয়াদেরও নিয়ে। এ বছর আলুর চাষ করেছিলেন। কী ভাবে চাষ করতে হয়, ফলন বাড়াতে গেলে কোন পদ্ধতিতে সেচ দিতে হয়, রোগও পোকার দমন কী ভাবে করতে হয়—সবই তিনি পড়ুয়াদের হাতেকলমে শেখান।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শুভাশিস পাল বলে, “স্কুলের জমিতে আলুচাষ হয়েছে জানতাম। টিফিনের সময় জমিতে গিয়ে দেখতাম, গাছগুলি বড় হচ্ছে। কয়েক দিন আগে উঁচু ক্লাসের দাদাদের টোটন স্যরের সঙ্গে জমি থেকে আলু তুলে বস্তায় ভরতে দেখেছি। এ সব দেখে আমাদের খুব ভাল লেগেছে।”
বাসুদেব দাস নামে এক অভিভাবক বলেন, “লেখাপড়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের হাতেকলমেও চাষের কাজও শেখানো হয় স্কুলে। শহরের ছেলেরা কৃষিকাজ খুব একটা জানে না। কী ভাবে আলু চাষ হয়, তা ওরা স্কুলে এসেই জেনেছে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলকান্তি দাস বলেন, “ওই শিক্ষক ছাত্রদের কৃষিকাজ শেখান। দেখে আমরাওখুশি হই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy