হোটেলে ঘরভাড়া নিয়ে জুয়ার আসর বসেছিল। এই অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ১০ লক্ষের বেশি টাকা। বুধবার রাতে দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপে প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধী সরণিতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত জুয়া খেলার জন্য কোনও নির্জন এলাকা, জঙ্গল বা ফাঁকা বাড়ি বেছে নেন। কিন্তু এমন জমজমাট হোটেলে রমরমা আসর এর আগে কখনও দেখা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, যাতে কারও সন্দেহ না হয়, তাই এমন একটি জায়গাকে বেছেনিয়েছেন ধৃতেরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতেরা হলেন বেনাচিতি ট্রাঙ্ক রোড বিদ্যাসাগর পল্লির মানিক বিশ্বাস, অন্ডালের উখড়া বাজপেয়ী মোড়ের অচিন্ত্য গড়াই, ভাদুগ্রামের স্বপন ধীবর, দুবচুড়ুরিয়ায় দিলীপ ধীবর ও নবকুমার ধীবর, নিউ টাউনশিপ থানার শরৎপল্লির পূজন মুখোপাধ্যায়, পাণ্ডবেশ্বরের শ্যামলা কোলিয়ারির মহেন্দ্র সিংহ,নামোপাড়ার রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অলিনগরের মন্ত্রী মণ্ডল, দুর্গাপুর-ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার ঝাঁঝড়ার কোচডিহির অমর বন্দ্যোপাধ্যায়, জামুড়িয়ার ভুড়ির স্বজন বাগ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। তাঁদের মধ্যে মহেন্দ্র, নবকুমার, স্বপন ও মানিকের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হোটেলটি ডিএসপি-র সম্পত্তি। তবে দীর্ঘদিন ধরে একটি বেসরকারি সংস্থা ‘লিজ়’ নিয়ে চালাচ্ছে সেটি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, জুয়ার আসার বসানোর জন্য ওই হোটেলের একটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘরে নিয়মিত আসর বসত বলে গোপন সূত্রে খবর আসে পুলিশের কাছে। নজরদারি শুরু করে। এর পরে, নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয়।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, “এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করা হবে।” ছুটিতে থাকায় ডিএসপি’র কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।a
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)