Advertisement
E-Paper

জ্বরে পুড়ছে সারা জেলা

গোটা রাজ্যের মতো পশ্চিম বর্ধমানও জ্বরে পুড়ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এমনকী জ্বরে আক্রান্ত গত এক-দু’মাসে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যুও হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাফাই পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১৪
অপরিষ্কার: এমনই হাল রানিগঞ্জের বল্লভপুরের নানা এলাকার। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

অপরিষ্কার: এমনই হাল রানিগঞ্জের বল্লভপুরের নানা এলাকার। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

গোটা রাজ্যের মতো পশ্চিম বর্ধমানও জ্বরে পুড়ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এমনকী জ্বরে আক্রান্ত গত এক-দু’মাসে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যুও হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাফাই পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। ফলে মশার উপদ্রব বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

গত মাসে, ২৩ তারিখ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বেনাচিতির ভিড়িঙ্গির বাসিন্দা গোবিন্দ বাগদি (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে, অজানা জ্বর এবং তার জেরে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার কথা জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার। ২৮ অক্টোবর জ্বরে অসুস্থ হয়ে মারা যান রাঁচী কলোনির রাজ ডোম (১৮)। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর দিন পাঁচেক আগে থেকে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দু’দিন পরে ছাড়া পান। দু’দিন বাড়িতে থাকার পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত এক মাসে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে জ্বরে আক্রাম্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা, তিন। এঁদের মধ্যে রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েতের দু’জন, জামুড়িয়ার এক জন রয়েছেন।

অভিযোগ, এলাকায় সাফাই অভিযান না চলায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই সব ঘটনার পরে শেষমেশ সাফাই অভিযানে নামে দুর্গাপুর, আসানসোল পুরসভা। দুর্গাপুরের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারি জানান, সাফাই অভিযানের পাশাপাশি সচেতনতা তৈরির কাজও চলছে।

তবে এ সবের পরে জেলায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমেনি বলেই দাবি। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় একশো রোগী ভর্তি হয়েছেন। আসানসোলে ফি দিন প্রায় তিরিশ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলে আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর। তবে তাঁদের অনেকেই সুস্থ বলে জানান হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র সরকার।

আসানসোলে নানা এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির হচ্ছে বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগত বলেন, ‘‘পুরসভার ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর প্রতিটি হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’

তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, রানিগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা, বরাকরের হিউমপাইপ কলোনি, বার্নপুরের নরসিংহবাঁধ ও শান্তিনগর, আসানসোলের রেলপার, কুলটির নিয়ামতপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায় সাফাই অভিযান ঠিক মতো হচ্ছে না। যদিও আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘হিউমপাইপ কলোনি সাফ করা হয়েছে। নরসিংহবাঁধে আবর্জনার স্তূপ পুরসভা নিজেই সাফ করছে। এলাকায় মশা মারার ওষুধও স্প্রে করা হচ্ছে।’’

Fever Dengue Mosquito
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy