E-Paper

সংসার সামলে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন মানকরের সোমা

বুদবুদের মানকরের উজ্জ্বল মণ্ডলের সঙ্গে ২০০০ সালে বিয়ে হয় সোমার। পেশায় মৃৎশিল্পী উজ্জ্বল বিয়ের আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১২
কাজে মগ্ন মৃৎশিল্পী সোমা মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের মানকরে।

কাজে মগ্ন মৃৎশিল্পী সোমা মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের মানকরে। ছবি: বিপ্লব ভট্টাচার্য

মৃৎশিল্পী স্বামীর পাশে দাঁড়াতে ও সংসারের প্রয়োজনে প্রতিমা তৈরিতে হাতেখড়ি। সেই শুরু। তার পরে থেকে আর পিছন ফিরে তাকাননি পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের মানকরের মহিলা মৃৎশিল্পী সোমা মণ্ডল। এক দিকে, সংসার সামলাচ্ছেন। অন্য দিকে, দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত তিনি।

বুদবুদের মানকরের উজ্জ্বল মণ্ডলের সঙ্গে ২০০০ সালে বিয়ে হয় সোমার। পেশায় মৃৎশিল্পী উজ্জ্বল বিয়ের আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। বিয়ে হওয়ার পরে থেকেই স্বামীর সঙ্গে এই কাজে নেমে পড়েন সোমাও। তিনি জানান, বিয়ে হওয়ার পরে তিনি দেখতেন, উজ্জ্বল বছরভর প্রতিমা তৈরি করছেন। একা হাতেই চরম ব্যস্ততায় কাজ করতেন তিনি। তাই উজ্জ্বলের পাশে দাঁড়াতেই কাজ শুরু করেন সোমা।

সেই সূত্রেই, ধীরে ধীরে প্রতিমা তৈরির কাজ শিখে ফেলেন উজ্জ্বলের থেকে। সোমা বলেন, “কোনও দিন প্রতিমা তৈরি করিনি। ফলে, এই কাজটা পারব কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু স্বামী উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। সেই ভরসাতেই প্রতিমা তৈরি শুরু করি।”

এর সুফলও পেয়েছে পরিবারটি। উজ্জ্বল জানান, আগে দু’-তিনটির বেশি প্রতিমা তৈরি করতে পারতেন না। কিন্তু সোমা পাশে দাঁড়ানোয় বছর চারেক ধরে বরাতের সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর সেই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ২০টি।

সোমা ও উজ্জ্বলের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। সকলেই স্কুল, কলেজে পড়ে। সোমা জানান, সংসারের দৈনন্দিন কাজ, রান্না ইত্যাদি আছে। তার মধ্যেই প্রতিমা তৈরি করেন। তাঁর কথায়, “এটা আসলে সংসারের প্রয়োজনেই করতে হয়েছে। এখন খুবই ভাল লাগে। এখন নিজেও প্রতিমা তৈরি করতে পারি। আমার তৈরি প্রতিমা মানকর, বুদবুদ, পানাগড়, গলসি, জামুড়িয়ার মতো বিভিন্ন এলাকায় যায়।”

মায়ের এই কাজে খুব খুশি ছেলেমেয়েরাও। বড় মেয়ে বিদিশা নার্সিং প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। তিনি বলেন, “মা যে ভাবে কাজ করছেন, তাতে খুবই গর্ব হয়। মা আমাদের কোনও কষ্ট বুঝতে দেননি।” প্রতিমায় রং দিতে দিতে হাসি মুখে সোমা বলে চলেন, “ছেলেমেয়ে যাতে প্রকৃত শিক্ষাটা পায়, সে জন্যই এত কিছু।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Budbud

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy