Advertisement
E-Paper

ছেলে বিজেপি করায় বহিষ্কারের অভিযোগ 

মেমারি ১-এর বিডিও বিপুলকুমার মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েতের বিষয়। তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার জানা নেই।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০২:৪৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ছেলে বিজেপি করায় চক্রান্ত করে তাঁকে কর আদায়কারী পদ থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত, অভিযোগ তুলে জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন মেমারির বাগিলা পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামের শম্পা মোহন্ত। তাঁর দাবি, “ছেলে টোটো চালাত, সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। এ বার পেটে মারার জন্যে আমার কাজটাও কেড়ে নিল। আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। লড়াই করেই কাজ ফিরিয়ে আনব।’’

যদিও ওই পঞ্চায়েতের প্রধান অরিন্দম ঘোষালের দাবি, “শম্পাদেবী কর আদায় বন্ধ রেখে পঞ্চায়েতে বসে থাকতেন। পঞ্চায়েতের কর্তা-কর্মীদের হুমকি, কটূক্তি ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে শো-কজ করা হয়েছিল। তাঁর জবাবে পঞ্চায়েতের বোর্ড সন্তুষ্ট হতে পারেনি।’’

মেমারি ১-এর বিডিও বিপুলকুমার মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েতের বিষয়। তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার জানা নেই।’’ মহকুমাশাসক (বর্ধমান দক্ষিণ) সুদীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েতের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হবে।’’

প্রশাসনের কাছে লেখা চিঠিতে শম্পাদেবী অভিযোগ করেছেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে শোভন মোহন্ত বিজেপির সক্রিয় কর্মী। সে কারণে নানা অজুহাতে ও চক্রান্ত করে প্রথমে কর আদায়ের সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্পাদেবীর স্বামী সীতাংশুবাবু ২৫ বছর এই পঞ্চায়েতের কর আদায়কারী হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে তিনি ক্যানসারে মারা যাওয়ার পরে তৎকালীন প্রধান শম্পাদেবীকে কাজে নিয়োগ করেন। তাঁর দাবি, “রোদ, জল-ঝড়ে একা বিধবা মহিলা গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে কর আদায় করেছি। এখন অমানবিক ভাবে একদিনের নোটিসে আমাকে বহিষ্কার করে দেওয়া হল।’’ এখনও পর্যন্ত কর আদায়ের কমিশন বাবদ পঞ্চায়েত থেকে ৩৩ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে, বলেও তাঁর দাবি।

পঞ্চায়েতের দাবি, গত ১৭ জুন পঞ্চায়েতে ঢুকে অভব্য আচরণ করেছিলেন শম্পাদেবী। এ ছাড়াও চলতি আর্থিক বছরে ২২ জুলাই পর্যন্ত তিনি কোনও কর আদায় করেননি। সব মিলিয়ে তাঁকে শো-কজ করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। জবাবে শম্পাদেবীর দাবি, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শো-কজ করা হয়েছে। ১৫ দিনের বদলে মাত্র দু’দিন জবাব দেওয়ার সময় পাওয়া গিয়েছে।’’ বিডিওকে দেওয়া চিঠিতে তাঁর আরও দাবি, তাঁর কর আদায়ের এলাকায় আরও এক জনকে পঞ্চায়েত নিয়োগ করেছিল। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে একটি বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভীষ্মদেব ভট্টাচার্যের দাবি, “আইনি লড়াইয়ে শম্পাদেবীর সঙ্গে আছি আমরা। তাঁর প্রতি অমানবিক আচরণের প্রতিবাদও করব। স্রেফ বিজেপি করার জন্যে ওই পরিবারের সঙ্গে চক্রান্ত করা হয়েছে, সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।’’ মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা, “ওই পরিবারকে নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। পঞ্চায়েতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি দিলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’’

BJP Tax Collector
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy