Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
নজরে জেলা পরিষদ

শীর্ষ দুই পদে কারা, দলেই চলছে জল্পনা

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের প্রথম জেলা সভাধিপতি হিসেবে বিশ্বনাথ বাউরি ও সহ-সভাধিপতি হিসেবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আপাতত চূড়ান্ত হয়েছে। দু’জনেই জেলা পরিষদের সদস্য, দলের দুই শিবিরের ঘনিষ্ঠও। বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে শিবদাসনের সম্পর্ক বহু দিনের। আবার বৈশাখীদেবী মন্ত্রী মলয় ঘটক শিবিরের লোক বলে দলে পরিচিত।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭ ০১:২৯
Share: Save:

নতুন জেলা পরিষদের দিন ঠিক হতেই জল্পনা শুরু হয়েছে সভাধিপতির নাম নিয়ে। শাসক দলের কেউ বলছেন নতুন মুখ আনা হবে, কারও মতে, ভরসা থাকবে পুরনোতেই।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন অবশ্য জানান, আসানসোল পুরনিগমে যেমন নতুন মুখ আনা হয়েছিল, ঠিক সেভাবে জেলা পরিষদেও নতুন মুখ আনা হচ্ছে। এর বেশি যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবেন।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের প্রথম জেলা সভাধিপতি হিসেবে বিশ্বনাথ বাউরি ও সহ-সভাধিপতি হিসেবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আপাতত চূড়ান্ত হয়েছে। দু’জনেই জেলা পরিষদের সদস্য, দলের দুই শিবিরের ঘনিষ্ঠও। বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে শিবদাসনের সম্পর্ক বহু দিনের। আবার বৈশাখীদেবী মন্ত্রী মলয় ঘটক শিবিরের লোক বলে দলে পরিচিত।

জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার কলকাতায় পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির নাম নিয়ে আলোচনা হয়। সাধারণ ভাবে পুরনো সহ-সভাধিপতিকে নতুন জেলার সভাধিপতি করা হলেও এখানে প্রিয়া সূত্রধরের নাম শুরুতেই বাদ পড়ে যায়। বৈঠক সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু পাণ্ডবেশ্বরের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করেন। মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি আবার পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের নেতা নদীয়া ধীবর এবং মলয় ঘটক বারবনির জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ উত্তম চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনটে নামই বাতিল হয়ে যায়। পরে মেয়র জামুড়িয়া বিধানসভার চাপুই পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বনাথ বাউরির নাম প্রস্তাব করলে তাতে শীলমোহর দিয়ে দেন অরূপবাবু। মলয়বাবু সহ-সভাধিপতি হিসাবে কাঁকসার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করলে তাও মেনে নেওয়া হয়। বৈশাখীদেবী পূর্ত দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্যও।

দলের একাংশের দাবি, দীর্ঘ দিন পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন নরেনবাবু। এই পদের দাবিদারও তিনি। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার মামলায় তাঁর নাম জড়ানোর পরে অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে। আবার উত্তম চক্রবর্তীও ২০০৮-১৩ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। কিন্তু এই লড়াইয়ে প্রাধান্য পাননি তিনিও। বরং বেছে নেওয়া হয়েছে ভি শিবদাসনের ঘনিষ্ঠকে। যদিও কোনওরকম গোষ্ঠীর কথা মানতে চাননি জেলা সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘‘মোট ১৭টি জেলা পরিষদ আসনের ১৫টি তৃণমূল, ২টি সিপিএমের। ৯ জন কর্মাধ্যক্ষ ও ৯টি উপসমিতির ৯ জনকে চেয়ারম্যান করা হবে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘জেলা পরিষদে যত দলীয় সদস্য তার থেকে সম্মানীয় চেয়ারের সংখ্যা বেশি। তাই কারও বঞ্চিত হওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”

বিশ্বনাথবাবু ও বৈশাখীদেবী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC East Burdwan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE