E-Paper

‘হুমকি চিঠি’ আসানসোলের তৃণমূল পুর-প্রতিনিধিকে, দ্বন্দ্ব-চর্চা

লেখাটির নীচে লাল কালির চিহ্ন রয়েছে।” সেলিম জানান, চিঠিটি পেয়ে তিনি পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৪০
এই চিঠি ঘিরে বিতর্ক আসানসোলে।

এই চিঠি ঘিরে বিতর্ক আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র।

এক তৃণমূল পুর প্রতিনিধিকে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসানসোলের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। শুক্রবার ডাককর্মীর মাধ্যমে ওই চিঠিটি পেয়েছেন বলে দাবি পুর প্রতিনিধি সেলিম আখতারের। রাতে তিনি কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগে সেলিম আখতার জানিয়েছেন, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ কুলটি ডাকঘরের এক কর্মী তাঁর বাড়িতে এসে বাদামি রঙের খামবন্দি একটি চিঠি দিয়ে যান।

সেলিমের দাবি, “খামের ভিতরে একটি চিরকুট ছিল। তাতে কালো কালিতে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, সাবধান... সেলিম আখতার, পুর প্রতিনিধি ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড। লেখাটির নীচে লাল কালির চিহ্ন রয়েছে।” সেলিম জানান, চিঠিটি পেয়ে তিনি পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জানিয়েছেন। দলীয় নেতৃত্ব ও পুর কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতো তিনি রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেলিম আখতার দু’বারের পুর প্রতিনিধি। তাঁর কথায়, “এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন ধরে রেখেছি। সেই রাগ থেকেই এই হুমকি এসে থাকতে পারে। তবে আমি ভয় পাইনি।” মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।” পুলিশ জানায়, চিঠিটি কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আসানসোলের কোনও এলাকা থেকে এই চিঠিটি পাঠানো হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। এই কাজ বিরোধীদের বলে দাবি তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। এ সব করে কোনও লাভ নেই।” তবে এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “এখন তৃণমূল নেতা ও জন-প্রতিনিধিরা রাজ্যবাসীর সম্মান খুইয়েছেন। এ সব নাটক করে হালে হাওয়া পেতে চাইছেন।” বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে দলের মধ্যেই কোণঠাসা ওই পুর প্রতিনিধি। ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রায় পাঁচটি উপদল রয়েছে। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Asansol TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy