Advertisement
E-Paper

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ বন্ধ, বিতর্ক

পুরপ্রধান বুর্দ্ধেন্দু রায় যদিও বলেন, ‘‘শীঘ্রই ওই কাজ শুরু হবে। কাজ বন্ধ করে ঠিক করেননি ওই কাউন্সিলর।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৮ ০০:৫৩
গুসকরা বাসস্ট্যান্ডে কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার। নিজস্ব চিত্র

গুসকরা বাসস্ট্যান্ডে কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার। নিজস্ব চিত্র

পরিবহণ মন্ত্রীর নির্দেশে থমকে থাকা বাসস্ট্যান্ডের কাজ শুরু হয়েছিল। শনিবার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ শুরু করান গুসকরা পুরসভার পূর্ত দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই অনিয়মের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দিলেন পুরসভার কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার। শহরবাসীর ক্ষোভ, দু’জনের ব্যক্তিগত রেষারেষির ফল আটকে যাচ্ছে উন্নয়নের কাজ। আগেও পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্বে রাস্তাতৈরি, জলপ্রকল্প, বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর মতো কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

পুরপ্রধান বুর্দ্ধেন্দু রায় যদিও বলেন, ‘‘শীঘ্রই ওই কাজ শুরু হবে। কাজ বন্ধ করে ঠিক করেননি ওই কাউন্সিলর।’’

শুক্রবার বর্ধমানে একটি অনুষ্ঠানে এসে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের আধুনিকীকরণের কথা জানান। সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন করার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা এবং তারাপীঠের দুটি বাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলেও জানান। শনিবারই নিত্যানন্দবাবুর তদারকিতে বাসস্ট্যান্ডের দুদি’কে দুটি গেট করার জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করে দেন ঠিকাদার। রবিবার মল্লিকাদেবী ঠিকাদারের কাছে কাজ করার কাগজ দেখতে চান। তিনি তা দেখাতে পারেননি। এরপরেই তাঁকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন তিনি। মল্লিকাদেবী অভিযোগ করেন, টেন্ডার না ডেকেই কাজ করানো হচ্ছে। বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছেন বলেও তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “যেখানে ৫ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হলেই ই-টেন্ডার করার কথা, সেখানে টেন্ডার ছাড়া প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার কাজ কী ভাবে হচ্ছে তা, চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন যা পারেন, করুন, তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”

নিত্যানন্দবাবুর যদিও দাবি, টেন্ডার করে কাজ করতে গেলে এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হত না। তাই কাউন্সিলরদের সভায় অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। যদিও তাঁর দাবি উড়িয়ে দিয়ে মল্লিকাদেবী বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি কাউন্সিলরদের সভায়।’’ এ দিন অবশ্য বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পুরপ্রধান বা নিত্যানন্দবাবু কাউকেই দেখা যায়নি। ঠিকাদারের তরফে মালপত্র তুলে নেওয়া হয়। নিত্যানন্দবাবু বলেন, ‘‘কথায় কথায় ওই মহিলা কাউন্সিলর মামলা করেন। তাই ওঁর বিরোধিতায় গেলাম না।’’

এই দু’জনের দ্বন্দ্ব অবশ্য নতুন নয় গুসকরায়। আগেও পুরসভার বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে তাঁদের বাদানুবাদ, চুলোচুলির ঘটনা ঘটেছে। একে অপরের নামে থানায় অভিযোগও করেছেন। দলের তরফে বারবার একসঙ্গে চলা, ঝামেলায় না জড়ানোর কথা বলা হলেও তা যে মানা হচ্ছে না তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে কর্মীদের একাংশের। তৃণমূলের গুসকরা শহরের সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি উপর মহলকে জানানো হয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাঁরাই নেবেন।’’

Bus Bus Stand
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy