জ্বলেনি উনুন। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরে আদিবাসী আবাসিক স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঁড়ার যে খালি, সময়ে সে দিকে নজর দেননি হস্টেলের কর্মীরা। ফলে, না খেয়েই পরীক্ষা দিতে যেতে হল দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদিবাসী আবাসিক স্কুলের পড়ুয়াদের। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে পরে খাদ্যসামগ্রী আসে। স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে খাবার পায় পড়ুয়ারা।
২০০৫ সালে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের গড়ে তোলা এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা তিনশোর বেশি। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পড়ুয়ারা এখানে থেকে পড়াশোনা করে। তাদের অধিকাংশই তফসিলি উপজাতির।
একটি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী এই স্কুলের হস্টেলে চাল, ডাল, তেল, সব্জি সরবরাহ করে। এক সঙ্গে কয়েকদিনের সামগ্রী দিয়ে যায় তারা। স্কুল সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে রান্না করার সময়ে রাঁধুনিরা দেখেন, পর্যাপ্ত চাল নেই। কোনও রকমে আধপেটা খেতে পায় পড়ুয়ারা। রাতে ফোন করে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকে জিনিস পাঠানোর কথা বলেন হস্টেলের কর্মীরা। সকালে ১০টা নাগাদ পড়ুয়াদের খেতে দেওয়ার কথা। কিন্তু তখনও জিনিস এসে না পৌঁছানোয় অভুক্ত অবস্থায় পরীক্ষা দিতে যায় পড়ুয়ারা। দশম শ্রেণির পড়ুয়া বাঁকুড়ার ছাতনার বরেন মান্ডি, বামুনাড়ার নবম শ্রেণির পড়ুয়া গণেশ হেমব্রমরা জানায়, বুধবার রাতেও ভাল ভাবে খেতে পায়নি। এ দিন বিকেল অবধি খাবার জোটেনি।
এ দিন স্কুলে পৌঁছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী সেনশর্মা যত দ্রুত সম্ভব খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর আর্জি জানান ওই গোষ্ঠীর কাছে। দুপুরে তা এলে রান্না হয়। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর বক্তব্য, বুধবার অনেক রাতে খবর পাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। সমস্যা শুনে এ দিন স্কুলে যান মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা। শ্রাবণীদেবী বলেন, ‘‘হস্টেলের কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর না হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy